সুব্রত বিশ্বাস: সামনেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। তবে এখন বহু বাঙালিই উৎসবে বাড়ি ছেড়ে বেড়াতে বেড়িয়ে পড়েন। বাড়ি থেকে দূরে গেলেও তাঁদের চাই মায়ের হাতে রাঁধা চিংড়ির মালাইকারি কিংবা ইলিশ ভাপা। কিন্তু তখন ইচ্ছে থাকলেও মেলে না উপায়। এবার বাঙালির সেই রসনাতৃপ্তিতে এগিয়ে এল রেল (Indian Railways)। নিল অভিনব উদ্যোগ।
সামনেই বাঙালির প্রধান উৎসব দুর্গোৎসব। সেই সময় ঘুরতে বেড়িয়ে যাতে বাংলার আঞ্চলিক খাবারের স্বাদ পেতে পারেন ভ্রমণ পিপাসুরা, এবার সেই ব্যবস্থা করছে রেল। এবার রাজ্যের বড় স্টেশনগুলির ফাস্টফুড সেন্টার ও ফুডপ্লাজাতে পাওয়া যাবে একাধিক বাঙালি পদ। মিলবে লুচি, আলুর দম, ছোলার ডাল, ছানার কোপ্তা, পোলাও, মাছের ঝোল, পাঠার মাংস, চিংড়ি মাছের মালাইকারি, রসোগোল্লা, কালাকাঁদ, রসমালাই, পায়েস। অন্যান্য সময়ের মতো পাওয়া যাবে মটন বিরিয়ানি, চিকেন বিরিয়ানি, ভেজ বিরিয়ানি ও মাংসের একাধিক পদও।
[আরও পড়ুন: উপনির্বাচন-সহ রাজ্যের তিন বিধানসভা আসনে ভোট, আসছে ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী]
নয়া উদ্যোগ প্রসঙ্গে আইআরসিটিসির পূর্বাঞ্চলের গ্রুপ জেনারেল ম্যানেজার দেবাশিস চন্দ্র জানান, গত বছর কোভিড পরিস্থিতিতে ট্রেন কম চলছিল। এবার ট্রেন বেড়েছে। যাত্রী সংখ্যা এখন অনেক বেশি। পাশাপাশি সংক্রমণ কমে আসায় এবার পুজোয় ভ্রমণার্থী বাড়বে বলে আশা করছি। বাঙালি পুজোয় ঘুরতে বেড়িয়েও বঙ্গের খাবারের স্বাদ নিতে বেশি আগ্রহী থাকেন। তাই এবার বড় স্টেশনগুলির ফুডপ্লাজা, ফাস্টফুড ইউনিটগুলিতে পাওয়া যাবে বাংলার খাবার। মহালয়ার দিন থেকে দেড় মাস এই খাবার মিলবে। বসে খাওয়ার পাশাপাশি যাত্রীরা তা নিয়েও যেতে পারবেন।
[আরও পড়ুন: এক শিশুর মৃত্যু, লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত, সংক্রামক জ্বরের আতঙ্কে কাঁপছে জলপাইগুড়ি]
আইআরসিটিসির পূর্বাঞ্চলের গ্রুপ জেনারেল ম্যানেজার আরও জানিয়েছেন, হাওড়া, শিয়ালদহ, মালদা, বোলপুর, নিউ জলপাইগুড়ি-সহ বহু স্টেশনে মিলবে এই খাবার। স্টেশনের পাশাপাশি ট্রেনে রেডি-টু-ইট হিসেবে যাত্রীরা ই-ক্যাটারিংয়ের মাধ্যমেও এই খাবার অর্ডার করতে পারবেন।এ প্রসঙ্গে বলে রাখা দরকার, আগে রেলের তরফে প্রতি বছর পুজোর সময়ে এই ধরনের খাবার ব্যবস্থা করা হত। গত বছর কোভিড পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে তেমন বিশেষ ব্যবস্থা না করা গেলেও এবার মিলবে এই ধরনের খাবার।