shono
Advertisement
Bihar

বিহারের ট্রেনে আক্রান্ত বাঙালি পর্যটকরা, লাঠি-উইকেটের ঘায়ে ফাটল মাথা!

হাওড়ার রেল পুলিশ সুপার পঙ্কজ দ্বিবেদী বলেন, 'জিরো এফআইআর করে আমরা বিহার রেল পুলিশের কাছে পাঠিয়ে দেব।'
Published By: Sucheta SenguptaPosted: 12:01 PM Jun 25, 2024Updated: 01:24 PM Jun 25, 2024

সুব্রত বিশ্বাস: কেদারনাথ ঘুরে ফেরার পথে ট্রেনের মধ্যে আক্রান্ত বাঙালি পর্যটকরা। দুন এক্সপ্রেসের ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে হাওড়া আসার পর জিআরপি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ, সোমবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ বিহারের (Bihar) কুন্দ্রা স্টেশনে ট্রেনে উঠে যাত্রীদের মারধর করে। প্রায় দুশোজন মিলে হকি স্টিক, উইকেট, বেল্ট দিয়ে চলে অত্যাচার। মহিলা-সহ প্রায় দশজন যাত্রী আহত হন। 'রেল মদতে' ফোন করে কোনওরকম সহযোগিতা পাননি বলে যাত্রীদের অভিযোগ।

উত্তর ২৪ পরগনা (North 24 Parganas) গোপালনগরের বাসিন্দা আহত যাত্রী দেবব্রত মুখোপাধ্যায়, রুদ্র তরফদাররা গিয়েছিলেন কেদারনাথ (Kedarnath) ঘুরতে। বাঙালি পর্যটকের দলটি রবিবার রাতে ঋষিকেশ থেকে দুন এক্সপ্রেস ধরেন। S9 কামরায় ছিলেন তাঁরা। সোমবার রাতে বেনারস (Benaras) থেকে এক যাত্রী ওই কামরায় চড়েন। সংরক্ষণ না থাকলেও জোর করে ওই যাত্রীদের আসনে বসে পড়েন বলে অভিযোগ। জানলা দিয়ে গুটখার পিক ফেলায় তাঁকে বারণ করেন যাত্রীরা। ছমাসের এক শিশু থাকা সত্বেও এভাবে পিক ফেলায় বিরক্ত হয়ে যাত্রীরা তাঁকে সিট ছাড়তে বাধ্য করেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে আফগান রূপকথা, রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমিতে রশিদ খানরা]

আরও অভিযোগ, এই ঘটনার পর সেখানে দাঁড়িয়েই ওই যাত্রী হুমকি দেন, ভাবুয়া রোড এলে দেখিয়ে দেবেন। মোবাইলে (Mobile) একের পর এক ফোন করে তিনি লোকজনকে স্টেশনে আসতে বলেন। বিহারের কুন্দ্রা স্টেশনে ট্রেনটি ঢোকার সময় রানিংয়ে পঞ্চাশজনের মতো মানুষ ট্রেনটিতে ওঠে। তাঁদের হাতে ছিল লাঠি, হকি স্টিক, উইকেট, বেল্ট। তাই দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বাঙালি পর্যটকদের (Tourists)। বাইরে তখন জড়ো হওয়া আরও শ খানেক লোক। যারা জনলা দিয়ে লাঠি দিয়ে খোঁচা মারছিল। এতে মহিলাদের হাত, মুখ কেটে যায়। যাত্রীদের কারও মাথা ফেটে যায়, ঘাড়ে লাগে, হাত ফুলে যায়। ট্রেনের ভিতরে তাণ্ডব চালিয়ে তারা ওই স্টেশনে নেমে যায়। নামার সময় মোবাইল, ব্যাগপত্তর ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায় বলেও অভিযোগ।

[আরও পড়ুন: ‘গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে ভালোবাসা দেখাচ্ছে!’ জরুরি অবস্থার ৪৯ বছরে কংগ্রেস নিশানা মোদির]

রেলের তরফে কোনও সহযোগিতা পাওয়া যায়নি বলে তাঁরা অভিযোগ করেন। এ ধরনের ঘটনা একই কারণে আগেও বিহারের ট্রেনে বহুবার ঘটেছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। হাওড়ার (Howrah) রেল পুলিশ সুপার পঙ্কজ দ্বিবেদী বলেন, ''জিরো এফআইআর (FIR) করে আমরা বিহার রেল পুলিশের কাছে পাঠিয়ে দেব।''

দেখুন ভিডিও: 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • বিহারে ট্রেনে আক্রান্ত বাংলার পর্যটকরা।
  • ট্রেনে উঠে জোর করে আসনে বসার চেষ্টা যুবকের, প্রতিবাদ করলে লোক জড়ো করে মারধরের অভিযোগ।
  • রেলের তরফে কোনও সহযোগিতা পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ আক্রান্ত যাত্রীদের।
Advertisement