সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা (Coronavirus) আবহে কেটে গিয়েছে উৎসবের মরশুম। দুর্গাপুজো কীভাবে হবে তার জল গড়িয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে। ছটপুজোয় রবীন্দ্র এবং সুভাষ সরোবর ব্যবহারের ইস্যু পৌঁছেছিল সুপ্রিম কোর্টেও। উৎসব কাটলেও এই ইস্যুতেই বাঁকুড়ার সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে বিজেপিকে কড়া ভাষায় বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কটাক্ষ, “উৎসব, দুর্গাপুজো, ছটপুজো সব কিছু নিয়ে মামলা করাই বিজেপির কাজ। দুর্গাপুজো, কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো আমরা করি না? সব করি। তা সত্ত্বেও নির্বাচনের আগে অনেকে এসে দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করবে। ভোটের আগে অনেক রাজনৈতিক দল আসবে। ব্যাংকে টাকা দেবে। মনে রাখবেন ওই টাকা আপনার টাকা। জমিদারির টাকা নয়। তাই টাকা নিন কিন্তু ভোট দেবেন না।”
[আরও পড়ুন: ‘দিলীপবাবুর ঠোঁট ও জিভের চিকিৎসা প্রয়োজন’, ফের বেফাঁস জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক]
করোনা সংক্রমণে লাগাম টানতে দেশজুড়ে লকডাউন (Lockdown) করা হয়। তার ফলে বন্ধ ছিল বেশিরভাগ কর্মপ্রতিষ্ঠান। তাই আয় ঠেকেছিল তলানিতে। এই পরিস্থিতিতে চাকরি হারিয়েছেন বহু মানুষ। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, করোনা পরিস্থিতিতে বাংলায় কর্মসংস্থান বেড়েছে। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্র সরকারকে তোপ দাগেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, নানা প্রকল্প চালু করে তা দিনকয়েকের মধ্যেই বন্ধ করে দেয় কেন্দ্র। তার ফলে ক্রমশই বাড়ছে বেকারত্ব। অথচ রাজ্য সরকারের যেকোনও প্রকল্পে যুক্ত কর্মীদের কাজের সময়সীমা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা জানতে ‘দুয়ারে দুয়ারে সরকার’ এবং ‘কর্মই ধর্ম’ নামে দু’টি প্রকল্পের কথাও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ফের আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগেও সরব হয়েছেন তিনি। এছাড়াও মূল্যবৃদ্ধি ইস্যুতেও কেন্দ্রকে একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী। কালোবাজারি বলেও কেন্দ্র সরকারকে কটাক্ষ করেন। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “দিল্লির সরকার আলুর সরকার। আলু নেই, পিঁয়াজ নেই। এদের আর একটি ভোটও নয়।” দু-তিনমাস বাদে আলু, পিঁয়াজের দাম আরও বাড়ার আশঙ্কাপ্রকাশও করেন মুখ্যমন্ত্রী।