সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মদ্যপ অবস্থায় স্টেজে উঠে গান গাওয়ায় সম্প্রতি তুমুল বিতর্কের মুখে পড়েন বাংলাদেশের জনপ্রিয় গায়ক নোবেল। আর এবার সেই ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন গায়ক স্বয়ং।
ওপার বাংলার এক সংবদামাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নোবেল জানালেন, ”স্টেজে ওঠার আগে নিজেকে রিল্যাক্সড রাখার জন্য একটু মদ্যপানের দরকার পড়ে। কিন্তু অতিরিক্ত মদ্যপান করিনি। অল্পই পান করেছিলাম। তবে এ ঘটনায় আমি অনুতপ্ত এবং দুঃখিত। হাঁটু গেড়ে হাতজোড় করে সবার কাছে ক্ষমা চাইছি। এরকমটা আর কখনও হবে না।”
[আরও পড়ুন: বিদেশের মাটিতে চঞ্চল ‘হাওয়া’! আফ্রিকার যুবক গাইলেন ‘সাদা সাদা কালা কালা’ ]
ঠিক কী ঘটেছিল?
ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবার রাতের। সেদিন বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা শহর কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। অভিযোগ, ওই দিন রাত ৯টার দিকে মঞ্চে গান পরিবেশনার কথা ছিল নোবেলের। কিন্তু তিনি মঞ্চে ওঠেন রাত ১১.২০ মিনিটে। মঞ্চে গান গাওয়ার পরিবর্তে মাতলামি শুরু করে দেন নোবেল। মঞ্চের উপর বসেও পড়েন। বাংলাদেশি গায়ককে মাইক্রোফোনের স্ট্যান্ডও ভাঙচুর করতে দেখা গিয়েছে।
নোবেলের এমন আচরণ দেখেই দর্শকরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তাঁকে লক্ষ্য করে জুতো, জলের বোতল ছুঁড়তে থাকেন। পরে মঞ্চে থাকা আয়োজকদের কয়েকজন এসে নোবেলকে সরিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক তথা ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম বলেন, “একজন শিল্পী এভাবে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মঞ্চে উঠবেন আমরা আয়োজকেরা ভাবতে পারিনি। আয়োজকদের পক্ষ থেকে আমরা অনুষ্ঠানে আগত দর্শক ও সুধীজনের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।”
এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে নোবেলের বিবাহবিচ্ছিন্না স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ ফেসবুকে লেখেন, “সমস্যাটা যদি শারীরিক হতো হয়তো বা মানুষ কমেন্টে দোয়ার মাহফিল বসাতোl কিন্তু সমস্যাটা মানসিক তাও আবার মাদক ঘটিত। যে রকম মানুষ নোবেল কোনও দিনই প্রথম থেকে ছিল না। এটা আমার নিজেরই দীর্ঘদিনের দেখা, শো-তে যাবার সময় গাড়ি দাড় করিয়ে নোবেলের নামাজ পড়া, সা রে গা মা পা চলাকালীন সময়ে পুরো শুটিংয় ইউনিটকে বসিয়ে রেখে নামায পড়া আর সবার সাথে অমায়িক ব্যাবহার। আর সে মানুষটা এখন নিজের কার্যকলাপে নিজেই নিজেকে চিনতে পারে না। নিজের নিরহংকার রূপকে ঢেকে পরিবার ও ভক্তবৃন্দদের কাছে নিজের অস্বাভাবিক রূপ প্রকাশের দীর্ঘ প্রচেষ্টা।”