shono
Advertisement

‘একমাত্র জয়ই ইজরায়েলকে সুরক্ষিত করবে’, হামাসের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ফের নাকচ নেতানিয়াহুর

হামাসের তরফে তিনদফা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
Posted: 09:52 AM Feb 08, 2024Updated: 09:53 AM Feb 08, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত দুদিনে গাজায় তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে ইজরায়েলি ফৌজ। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ১০৭ প্যালেস্তিনীয়র। হামাসের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দাবি অনুযায়ী সেই মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে সাড়ে ৫০০। দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর বুধবার যুদ্ধ থামানোর প্রস্তাব দিয়েছিল হামাস। কিন্তু ফের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব সরাসরি নাকচ করে দিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তাঁর সাফ কথা, “জয় আমাদের হাতের মুঠোয়। ইজরায়েলের নিরাপত্তার জন্য এটা প্রয়োজন। এই লড়াই চলবে।” 

Advertisement

রয়টার্স সূত্রে খবর, বুধবারই প্যালেস্টাইনের জঙ্গিগোষ্ঠীর তরফে দেওয়া যুদ্ধ থামানোর প্রস্তাবে না করে দিয়েছেন নেতানিয়াহু। নিজের সিদ্ধান্তেই অনড় তিনি। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, “আমরা পূর্ণ জয়ের পথে এগিয়ে চলেছি। এই জয় আমাদের হাতের মুঠোয়। যুদ্ধে জয়ের দ্বারাই আমরা গোটা ইজরায়েলের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পারব। হামাসের দিন শেষ হয়ে আসছে।” যুদ্ধ থামানোর বদলে পণবন্দিদের মুক্তি দিতেও রাজি হয়েছিল হামাস জঙ্গিরা। কিন্তু তাতেও রাজি নন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। 

[আরও পড়ুন: নাশকতার আবহে পাকিস্তানে শুরু নির্বাচন, দেশজুড়ে বন্ধ মোবাইল পরিষেবা, প্রস্তুত সেনাও]

উল্লেখ্য, হামাসের তরফে তিনদফা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। প্রতিটি সংঘর্ষ বিরতির মেয়াদ হবে ৪৫ দিন। প্রথম দফার বিরতিতে হামাসের হাতে অপহৃত ১৯ বছরের নিচের পুরুষ-মহিলা, বয়স্ক এবং অসুস্থ ইজরায়েলি নাগরিককে ছাড়া হবে। পরিবর্তে ইজরায়েলের জেলে থাকা দেড় হাজার প্যালেস্তিনীয় মহিলা ও শিশুকে ছাড়তে হবে। দ্বিতীয় দফায় ছাড়া হবে বাকি পুরুষ অপহৃতদের। তৃতীয় দফায় দুপক্ষের মধ্যে দেহ ও দেহাবশেষ আদানপ্রদান। শুধু তাই নয়, যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ধ্বংশাবশেষে পরিণত হওয়া গাজা স্ট্রিপের পুনর্গঠন শুরু হবে। ধীরে ধীরে ওই ভূখণ্ড ছেড়ে বেরিয়ে আসবে ইজরায়েলি সেনা। তৃতীয় দফা সংঘর্ষ বিরতির মধ্যে দুপক্ষের মধ্যে যুদ্ধ শেষ করার চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। এর মাঝেই গাজায় প্রয়োজনীয় ওষুধ, খাবার, পানীয় আরও বেশি করে পৌঁছে দেওয়া হবে। কিন্তু এই প্রস্তাবে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন নেতানিয়াহু। ফলে কবে গাজায় এই মৃত্যুমিছিল থামবে তার উত্তর এখনও অধরা।

এদিকে, পণবন্দিদের মুক্তির দাবিতে ক্রমশ চাপ বাড়ছে ইজরায়েলের সরকারের উপর। একাধিকবার সেদেশের পার্লামেন্টে প্রতিবাদ জানিয়েছে হামাসের হাতে বন্দিদের পরিবার। ইতিমধ্যে চার মাসের যুদ্ধে স্রেফ গাজায় প্রাণ গিয়েছে, ২৭ হাজার ৫৮৫ জনের। যুদ্ধ থামাতে চাপ বাড়াচ্ছে আন্তর্জাতিক মহলও। কিন্তু কোনও পরিস্থিতিতেই নিজের সিদ্ধান্ত বদলাতে নারাজ নেতানিয়াহু।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement