গোবিন্দ রায়: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Poll) মনোনয়ন পর্বের শুরু থেকেই অশান্তিতে উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। আইএসএফের ৩ কর্মীর মনোনয়নপত্র দাখিল করার জন্য সব সাহায্য করতে হবে পুলিশকে। এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। পাশাপাশি মিনাখাঁয় হামলার ঘটনায় বসিরহাটের পুলিশ সুপারের রিপোর্ট তলব করল আদালত। এসপি বসিরহাটকে মিনাখাঁ থানার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে বৃহস্পতিবার রিপোর্ট দিতে হবে। একইসঙ্গে নির্বাচন কমিশন অভিযোগ পেলে তাঁরা যাতে মনোনয়ন জমা দিতে পারে তার ব্যবস্থা করতে পুলিশকে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেবে।
আইএসএফ (ISF) কর্মীদের মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এবার সেই জল গড়িয়েছিল আদালতে। দায়ের হয়েছিল মামলাও। বুধবার সেই মামলার রায়দান করল কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি রাজশেখর মান্থার নির্দেশ, ISF-এর মামলাকারী তিন প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য সবরকম সাহায্য করবে কাশীপুর ও ভাঙর থানার পুলিশ। তিনি আরও নির্দেশ দিয়েছেন, অন্য কোনও প্রার্থীর ক্ষেত্রেও যদি একই অভিযোগ ওঠে সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটে কেন অতিসক্রিয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন? আদালতে রাজ্য নির্বাচন কমিশন]
প্রসঙ্গত, আইএসএফের অভিযোগ, মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার সময় দুষ্কৃতীরা বাধা দেয়। মারধর করে। এমনকী, অফিসারও আবেদন নিতে অস্বীকার করেন। মনোনয়ন জমা দিলে খুন করার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। মোবাইলে এই সব রেকর্ড করার সময় সেটা কেড়ে নেওয়া হয়। পালটা বিচারপতি প্রশ্ন করেন, মনোনয়নপত্র জমা করার ঘরে সিসিটিভি আছে? আইনজীবী জানান, সিসিটিভি আছে। বিচারপতি মান্থার নির্দেশ, কেউ মনোনয়ন জমা দিতে বাধা পেলে কমিশনে অভিযোগ জানাবে। কমিশন পুলিশকে পদক্ষেপ করতে বলবে। সব প্রার্থীর মনোনয়ন জমার ব্যবস্থা করতে হবে। নিরাপত্তা দিতে হবে। সিপিএমের অভিযোগ, দলের অফিস ভাঙা হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ মুছে নতুন করে অভিযোগ করতে বাধ্য করা হয়। মনোনয়ন দিতে গিয়েও জমা দিতে ব্যর্থ হন প্রার্থীরা।
মনোনয়ন পেশকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরে উত্তাল দক্ষিণ ২৪ পরগনা। ভাঙড়ে নওশাদ সিদ্দিকির আইএসএফ আর আরাবুল ইসলামের দল অর্থাৎ তৃণমূল সমর্থকদের হাতাহাতি মঙ্গলবার চরমে ওঠে। ব্যাপক বোমাবাজি হয় এলাকা। চলে গুলি। পরিস্থিতি ঠিক কী, তা জানতে বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক ও এসপি কে ফোন করলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। রিপোর্ট তলব করেছেন বলেই খবর।