গৌতম ব্রহ্ম: ভাঙড়ের ‘হাঙর’দের জব্দ করবে কলকাতা পুলিশ! রাজ্য় সরকারের সেই সিদ্ধান্তেই সোমবার ছাড়পত্র দিল মন্ত্রিসভা। অর্থাৎ এবার থেকে কলকাতা পুলিশের আওতায় আসছে ভাঙড় থানা।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকেই বারবার উত্তপ্ত হয়েছে ভাঙড়। মনোনয়ন পর্বে দফায় দফায় বোমাবাজি হয়েছে। গুলি চলেছে। প্রাণ গিয়েছে একাধিক রাজনৈতিক কর্মীর। ভোটের ফলপ্রকাশের পর রাতে গুলিবিদ্ধ হন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারও। সবমিলিয়ে রাজ্য সরকারের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল ভাঙড় এলাকা। খোদ মুখ্যমন্ত্রীর জানিয়েছিলেন, ‘ভাঙড়ে গোলমাল পাকিয়েছে হাঙররা’। তাই ওই এলাকাকে কলকাতা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয় সূত্রের খবর।
কিছুদিন আগেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় এলাকা কলকাতা পুলিশের আওতায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। লালবাজারের এক কর্তা জানিয়েছেন, নতুন ওই অঞ্চলে দু’টি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। প্রথমত, আইন ও শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে থাকে। দ্বিতীয়ত, কোনও বেআইনি অস্ত্র ও বোমা মজুত করে রাখা বরদাস্ত করা হবে না। এর আগে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা কলকাতা পুলিশের আওতায় আসে। ওই থানার আওতায় ছিল ২৩টি মৌজা। এ ছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাশীপুর থানা এলাকার ৪৫টি ও ভাঙড় থানা এলাকার ৭৬টি মৌজা রয়েছে। এবার কলকাতা পুলিশের আওতায় এল ওই ১৪৪টি মৌজা। ওই মৌজাগুলিকে ভেঙেই তৈরি হচ্ছে ন’টি থানা। লালবাজার জানিয়েছে, ওই ন’টি থানা হচ্ছে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স, হাতিশালা, পোলেরহাট, উত্তর কাশীপুর, বিজয়গঞ্জ বাজার, নারায়ণপুর, ভাঙড়, বোদরা ও চন্দনেশ্বর। এর মধ্যে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার আওতায় থাকছে ১৩টি মৌজা, হাতিশালা থানার আওতায় ১৯টি, পোলেরহাট থানার আওতায় ১০টি, উত্তর কাশীপুর থানার আওতায় ১৫টি, বিজয়গঞ্জ বাজার থানার আওতায় ১১টি, নারায়ণপুর থানার আওতায় ১৭টি, ভাঙড় থানার আওতায় ১৯টি, বোদরা থানার আওতায় ২০টি ও চন্দনেশ্বর থানার আওতায় ২০টি মৌজা।