সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনের (Covaxine) তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। অথচ প্রথম পর্যায়েই নাকি জোর ধাক্কা খেয়েছিল করোনার (Corona Virus) এই প্রতিষেধক। শুরুতেই এই টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল। সেই খবর নাকি সেই সময় কার্যত চেপে যাওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।
তবে এই অভিযোগ কার্যত উড়িয়ে দিয়েছে বায়োটেক (Biotech)। তাঁদের দাবি, টিকা নেওয়ার পর এক স্বেচ্ছাসেবী হাসপাতালে ভরতি ছিলেন ঠিকই, কিন্তু তাঁর অসুস্থতার সঙ্গে টিকাগ্রহণের কোনও সম্পর্ক ছিল না। আর এই ঘটনার কথা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিল বলেও দাবি করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন : ৩০ সেকেন্ডেই খতম ৯৯.৯% করোনা! নতুন মাউথওয়াশ নিয়ে দাবি ইউনিলিভারের]
অভিযোগ উঠেছে, আগস্ট মাসে বায়োটেকের ওই টিকা প্রদানের পর এক রোগীকে হাসপাতালে ভরতি করতে হয়েছিল। জানা গিয়েছে, পশ্চিম ভারতের একটি জায়গায় প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালের সময় ৩৫ বছরের এক স্বেচ্ছাসেবকের ক্ষেত্রে সেই বিরূপ ঘটনা ধরা পড়েছিল। তাঁর কো-মর্বিডিটি ছিল না। টিকা গ্রহণের দু’দিন পরেই ভাইরাল নিউমোনিয়া-সহ তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। সপ্তাহখানকে পর অবশ্য হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বায়োটেকই বহণ করেছিল বলে খবর।
এই বিতর্কে মেটাতে বিবৃতি জারি করে ভারত বায়োটেক জানায়, “চলতি বছরের আগস্টে প্রথম পর্যায়ের ক্নিনিকাল ট্রায়ালের সময় একটি বিরূপ ঘটনা হয়েছিল। বিস্তারিতভাবে সেই বিরূপ প্রতিক্রিয়া খতিয়ে দেখা হয়েছে। তা একেবারেই টিকা সংক্রান্ত ছিল না। তবে সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তা সিডিএসসিও-ডিসিজিআইকে জানানো হয়েছিল।”
[আরও পড়ুন : করোনা চিকিৎসায় ‘রেমডিসিভির’ ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল WHO]
উল্লেখ্য, পরীক্ষামূলক প্রয়োগের সময় বিরূপ প্রতিক্রিয়ার পর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাস্ট্রোজেনেকা এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের ট্রায়াল সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছিল। কিন্তু ভারত বায়োটেকের ক্ষেত্রে তা করা হয়নি। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR) – ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির (NIV) সঙ্গে যৌথভাবে সম্ভাব্য টিকা তৈরি করেছে ভারত বায়োটেক।