সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৯ বিধানসভা নির্বাচনে ৮১ আসনের মধ্যে ৭৯টি আসনে লড়েছিল বিজেপি। সেবার শোচনীয় পরাজয় হয়। সম্ভবত সেই হার থেকে শিক্ষা নিচ্ছেন শাহ-নাড্ডারা। ঝাড়খণ্ডের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য আসনরফা চূড়ান্ত করেছে এনডিএ। তাতে দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের ছোট ছোট দলগুলির জন্য বেশ খানিকটা আত্মত্যাগ করেছে গেরুয়া শিবির।
বিজেপির তরফে যে আসনরফা ঘোষণা করা হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, আগেরবারের তুলনায় এবার গেরুয়া শিবির ১১টি কম আসনে লড়বে। ৮১ আসনের মধ্যে বিজেপি প্রার্থী দেবে ৬৮টিতে। ১০টি আসন ছাড়া হচ্ছে জোট সঙ্গী অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্ট ইউনিয়ন অর্থাৎ আজসুর জন্য। বিহার লাগোয়া ঝাড়খণ্ডে বিহারের দুই জোটসঙ্গী জেডিইউ এবং এলজেপি রামবিলাসকেও জায়গা দিয়েছে গেরুয়া শিবির। নীতীশ কুমারের দল লড়বে দুই আসনে। একটি আসনে লড়বে চিরাগ পাসওয়ানের এলজেপি (রামবিলাস)। তবে বিহারের আর এক জোট সঙ্গী হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চার জন্য ঝাড়খণ্ডে কোনও আসন ছাড়েনি গেরুয়া শিবির।
২০১৯ বিধানসভা নির্বাচনে সেভাবে জোটসঙ্গীদের পাত্তাই দেয়নি বিজেপি। আজসু দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির সঙ্গে জোটে থাকলেও উনিশে বিজেপি তাদের জন্য বেশি আসন ছাড়তে রাজি হয়নি। ফলস্বরূপ সুদেশ মাহাতোর দল ৫৪ আসনে প্রার্থী দেয়। বেশ কয়েকটি আসনে বিজেপির হারের কারণও হয়ে দাঁড়ায় আজসু। এবার সেকারণেই খানিকটা আপস করেই শরিকদের সঙ্গে নিয়ে চলার চেষ্টা করছে বিজেপি।
অন্যদিকে ইন্ডিয়া জোটেও আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। ২০১৯ সালের মতোই জেএমএমের নেতৃত্বে ঝাড়খণ্ডে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। আগেরবার জেএমএম ৪৩, কংগ্রেস ৩১ এবং আরজেডি ৭ আসনে লড়েছিল। এবারও তেমনই আসনরফার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে বাম দলগুলিকে কোনওভাবে জোটে জায়গা দেওয়া যায় কিনা, সেই চেষ্টাও করা হচ্ছে।