সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরিবারের একজনকে কৃষক আন্দোলনে (Farmer’s Protest) পাঠাতেই হবে, নয়তো গুনতে হবে মোটা টাকা জরিমানা। এই মর্মে ফতোয়া জারি করেছেন পাঞ্জাবের ভাটিন্ডার (Bhatinda) এক পঞ্চায়েত প্রধান। এই ফতোয়া ঘিরে তীব্র বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
ভিরক খুরদ গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান মনজিৎ কউর এই ফতোয়া জারি করেছেন বলে অভিযোগ। ফতোয়ায় বলা হয়েছে, গ্রামের প্রতিটি পরিবারের অন্তত একজন সদস্যকে দিল্লিতে চলতে থাকা কৃষক আন্দোলনে অংশ নিতে হবে। সেখানে থাকতে হবে সাতদিন। অন্যথায় দেড় হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। আর কেউ গ্রাম পঞ্চায়েতের এই নিদান অমান্য করলে তাঁকে সামাজিক বয়কট করা হবে। উল্লেথ্য, স্বরাজ ভারতের নেতা যোগেন্দ্র যাদব শুক্রবার সকল কৃষক পরিবারকে বিক্ষোভে অংশ নিতে আবেদন জানিয়েছিলেন। এর পরই এই ফতোয়া জারি করল ওই গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান।
[আরও পড়ুন : ২৬ জানুয়ারির ব়্যালিতে গুলিই করা হয়েছিল কৃষককে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ পরিবারের]
এদিকে কৃষক বিক্ষোভের জের দিল্লি সীমানায় এখনও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। হরিয়ানার আম্বালা, যমুনা নগর, কুরুক্ষেত্র,কার্নল -সহ একাধিক শহরেও সাময়িকভাবে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হচ্ছে। দিল্লিতে জোরকদমে চলছে তদন্তও। লালকেল্লায় তাণ্ডবের অভিযোগে শনিবার সন্ধে পর্যন্ত ৮৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দায়ের হয়েছে ৩৮টি এফআইআরও। তবু পিছু হঠতে রাজি নয় আন্দোলনকারীরা।
অন্যদিকে কৃষি আন্দোলন নিয়ে রাজনীতি চলছে। কৃষকদের প্রতি কেন্দ্রের আচরণকে ব্রিটিশ জেনারেল ডায়ারের নীতির সঙ্গে তুলনা করেছে এনসিপি। মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন রাহুল গান্ধীও। তাঁর কথায়, “মোদি সরকারের একমাত্র ট্রেড মার্ক- আমানবিক আচরণ।”