কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: হোয়াটসঅ্যাপে ‘হাই’ লিখে পাঠিয়ে দিলেই মুশকিল আসান। স্ক্রিনেই দেখতে পেয়ে যাবে করোনা টিকা (Corona vaccine) নেওয়ার দিনক্ষণ, স্থান এবং স্লট।নিজের পছন্দমতো সময় এবং জায়গা বেছে টিকা নেওয়ার একেবারে নিরাপদ ও নির্ঝঞ্ঝাট ব্যবস্থা। কলকাতা পুরসভার মতো এবার বিধাননগরে পুরনিগমেও (Bidhannagar Municipal Corporation)ভ্যাকসিন নেওয়ার স্লট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে এই সুবিধা চালু হয়েছে। আর তারপর থেকে ক্রমশ জনপ্রিয় ‘চ্যাট-বট’।
তবে এই পদ্ধতিতে শুধুমাত্র দ্বিতীয় ডোজের (Second dose) টিকাপ্রাপকরাই নিজেদের স্লট বুক করার সুযোগ পাচ্ছেন। এক সপ্তাহের মধ্যে দৈনিক প্রায় একশো শতাংশ চল্লিশোর্ধ্ব নাগরিক এর সুবিধা নিয়েছেন। আগে নাম লেখানো, লাইন দিয়ে টিকাকেন্দ্রর সামনে দাঁড়িয়ে তবে ভ্যাকসিন নেওয়ার চাইতে অনেক কম ঝঞ্ঝাটেই এই কাজ হওয়ায় খুশি তাঁরা।
[আরও পড়ুন: ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড: জনস্বার্থ মামলায় কলকাতা হাই কোর্টে একাধিক প্রশ্নের মুখে রাজ্য]
হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে নাম রেজিস্টার করলে বিধাননগরের প্রাপককে দু’টি জায়গায় টিকা নেওয়ার স্লট দেওয়া হচ্ছে। বাসিন্দারা তাঁদের সুবিধামতো টিকা শিবির (vaccination centre) পছন্দ করতে পারেন। বিধাননগরের মাতৃসদন এবং বাগুইআটির দেশবন্ধু নগর হাসপাতালে এইভাবেই মাধ্যমে ভ্যাকসিন নেওয়ার স্লট রেজিস্ট্রেশন চলছে। সকাল ১১টা থেকে বিকেল চারটের মধ্যে মোট ১০টি স্লটের মধ্যে পছন্দসই যে কোনও একটি বুক করতে পারেন টিকা প্রাপকরা। যার ফলে ফোনের এক ক্লিকেই ভ্যাকসিনের স্লট বুক হয়ে যাচ্ছে।
[আরও পড়ুন: Corona পরিস্থিতিতে মিলছে না বেতন, ঋণে জর্জরিত হয়ে আত্মঘাতী পর্ণশ্রীর বাসিন্দা]
পুরসভার মুখ্য প্রশাসক কৃষ্ণা চক্রবর্তী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “সল্টলেকে অধিকাংশ বয়স্ক মানুষের বাস। তাই তাঁদের কথা মাথায় রেখেই হোয়াটসঅ্যাপের (WhatsApp) মাধ্যমে এই স্লট বুকিংয়ে ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁদের ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য আর কোথাও লাইন দিতে হবে না।” পুর কমিশনার দেবাশিস ঘোষ জানিয়েছেন, “মাতৃসদন এবং দেশবন্ধু নগর হাসপাতালে হোয়াটসঅ্যাপের মাধমে রেজিস্টার করা ভ্যাকসিন প্রাপকের জন্য দৈনিক ১০০টি করে ডোজ বরাদ্দ করা হচ্ছে। শতকরা হিসেবে মাতৃসদনে প্রতিদিন রেজিস্টার করা মানুষের সংখ্যা প্রায় ৯৫ জন। দেশবন্ধু নগরে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য দৈনিক ৯৮-১০০ শতাংশ রেজিস্ট্রেশন হচ্ছে।” এর পাশাপাশি প্রথম ডোজ নেওয়ার টিকাকরণ শিবিরের আয়োজন করা হচ্ছে পুরনিগম এলাকার বিভিন্ন এলাকায়। হোয়াটসঅ্যাপ রেজিস্ট্রেশন ছাড়াও প্রতিদিন বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়ার দিন ঠিক করা হচ্ছে।