সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সবরীমালা ইস্যুকে হাতিয়ার করে কেরলে হিন্দুত্বের জিগির তোলার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে বিজেপি। এমনকী খোদ বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ কেরলের বুকে রীতিমতো ‘উসকানিমূলক’ বক্তব্য রেখেছেন বলে অভিযোগ বামেদের। উদ্দেশ্য একটাই, ধর্মীয় সুড়সুড়িতে কেরলবাসীর মনে জায়গা করে নেওয়া। কিন্তু সে কাজে গেরুয়া শিবির এখনও খুব একটা সাফল্য পায়নি, অন্তত উপনির্বাচনের ফল সেদিকেই ইঙ্গিত করছে। কেরলবাসী এখনও ভরসা রাখছেন ধর্মনিরপেক্ষ বামেদের উপরই। দ্বিতীয় স্থানে এখনও যথারীতি কংগ্রেস। কিছু কিছু এলাকায় ভোট বাড়লেও এখনও মূল লড়াই থেকে অনেকটাই দূরে বিজেপি। যদিও, সবরীমালা ইস্যুতে বিক্ষোভের আঁচ কমেনি। শুক্রবারও সুপ্রিম রায়কে সমর্থন করায় এক সমাজকর্মীর বাড়িতে হামলা চালায় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের জনা তিরিশেক সদস্য। কিন্তু এই ক্ষোভকে ভোটবাক্সে কাজে লাগাতে পারল না গেরুয়া শিবির।
[‘রাহুলই আমাকে পাকিস্তানে পাঠিয়েছেন’, বিস্ফোরক সিধু]
সবরীমালা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ের পর প্রথমবার উপনির্বাচন হয়েছিল কেরলে। পুরসভা, পঞ্চায়েত এবং ব্লক মিলিয়ে মোট ১৪টি জেলার ৩৯টি আসনে হয় ভোটগ্রহণ। বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করছিলেন, সবরীমালা ইস্যুকে হাতিয়ার করে কেরলের রাজনীতিতে বড়সড় উত্থান ঘটতে পারে বিজেপির। এই উপনির্বাচনেই সেই প্রমাণ মিলবে। কিন্তু বাস্তবক্ষেত্রে দেখা গেল তেমন কিছুই হয়নি। শাসক বাম গণতান্ত্রিক জোট ৩৯টি আসনের মধ্যে জয়ী হয়েছে ২১টি আসনে। রাজ্যের প্রধান বিরোধী, অর্থাৎ কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ পেয়েছে ১২টি আসন। অনেকটা পিছিয়ে বিজেপির দখলে গিয়েছে মোট ২টি আসন। গত নির্বাচনে অবশ্য গেরুয়া শিবিরের কাছে কোনও আসনই ছিল না। এবার একটি করে আসন তাঁরা ছিনিয়ে নিয়েছে কংগ্রেস এবং জেডিইউ-এর কাছ থেকে। বাকি আসনগুলি গিয়েছে কট্টরবাদী মুসলিম দলের দখলে।
[সমস্যা মেটাতে সংসদে বিশেষ অধিবেশন ডাকার দাবি কৃষকদের]
সিপিএম তথা বামেদের দাবি, ‘মোট ১৪টি জেলায় ভোট হয়েছে, সুতরাং রাজ্যের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এই ফলাফলে স্পষ্ট। কেরলের মানুষ সাম্প্রদায়িক বিজেপিকে জায়গা দেবে না।’ যদিও বিজেপির দাবি, শুধু আসন সংখ্যার বিচার না করে ভোট শতাংশের বিচার করলে তাঁরা সফল। তাছাড়া উপনির্বাচনগুলিতে শাসকদল বিরোধীদের থেকে এগিয়েই থাকে। আর উপনির্বাচন হয় স্থানীয় ইস্যুতে, তাই এই ফলাফলকে রাজ্যের সার্বিক পরিস্থিতির বহিঃপ্রকাশ কিছুতেই বলা যায় না।