সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত আগস্টে বিজেপির (BJP) সঙ্গ ছেড়েছেন নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। আরজেডি এবং কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে বিহারে নতুন সরকার গড়েছেন। কিন্তু এতদসত্ত্বেও তাঁর ব্যক্তিগত করিশমা যে পড়তির মুখে একথা আগেই শোনা গিয়েছে। সোমবার একটি উপনির্বাচন রয়েছে রাজ্যে। সেই উপলক্ষে মুজফফরপুরের এক জনসভায় এসে যেভাবে জনরোষের মুখে পড়তে হল তাঁকে, তাতে সেই গুঞ্জনই আরও জোরালো হল।
ঠিক কী হয়েছিল? বিহারের কুদনিতে উপনির্বাচনের প্রাক্কালে জনসভায় আসেন নীতীশ। কিন্তু তিনি মঞ্চে উঠতে না উঠতেই শুরু হয় বিক্ষোভ। তপসিলি পাসি সম্প্রদায়ের কয়েকজন মহিলা উঠে দাঁড়িয়ে দাবি জানাতে থাকেন, মদ নিষিদ্ধ হওয়ার ফলে তাঁরা তাড়ি বিক্রি করতে পারছেন না। তাই তাড়িকে নিষিদ্ধ মদের আওতা থেকে বাদ দিতে হবে।
[আরও পড়ুন: বিদ্রোহের জেরে নতিস্বীকারের ইঙ্গিত! হিজাব আইন পর্যালোচনা শুরু ইরানে]
কেবল ওই মদ বিক্রেতারাই নয়, বিক্ষোভ দেখাতে দেখা যায় সিটেট ও বিটেটে উত্তীর্ণ হয়েও চাকরি না পাওয়া পরীক্ষার্থীরাদের। পরিস্থিতি এমন গড়ায়, চেয়ারও ছুঁড়তে থাকেন তাঁরা। এক বিক্ষোভকারী আরতি দেবী বলেছেন, ”আমরা এখানে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে দাবি জানিয়েছি, নিষিদ্ধ মদের তালিকা থেকে তাড়িকে বাদ দেওয়ার জন্য। আমরা মদ নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে নই। কিন্তু অন্তত তাড়ি বিক্রি করতে না পারলে আমাদের সংসার চলবে না।”
এই ঘটনা আবারও বুঝিয়ে দিল নীতীশের উপরে চাপ সবদিক থেকেই কীভাবে বাড়ছে। এমনিতেই বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে দেওয়ার পরই তাঁকে যথেষ্ট বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছে। আসলে বিহারে নীতীশ কুমার যে গেরুয়া শিবির ছেড়ে আরজেডির (RJD) হাত ধরছে, সেটা মেনে নিতে পারেননি অনেক বিজেপি নেতাই। সেকারণেই অনেক সময় তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণের মুখে পড়তে হচ্ছে। বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, স্রেফ গদির লোভে বিহারের মানুষকে অপমান করছেন নীতীশ। বিহারের মানুষ ২০২০ সালে এনডিএ-কে ক্ষমতায় এনেছিল। কিন্তু বিজেপির হাত ছেড়ে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন নীতীশ।