সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘যব তক রহেগা সমোসে মে আলু, বিহার মে রহেগা লালু…।’ বিহারবাসীর এই মিথ এবার মিথ হয়েই রয়ে গেল। লালুপ্রসাদ যাদব (Lalu Prasad Yadav) এবারের ভোটপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না, সেটা কমবেশি সকলেরই জানা ছিল। এবার জানা গেল ফলপ্রকাশের দিনও মুক্তি পাচ্ছেন না আরজেডির (RJD) পথপ্রদর্শক।
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির তিনটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে আপাতত জেলে থাকার কথা লালুপ্রসাদ যাদবের। যদিও শারীরিক অসুস্থতার জন্য জেলে না থেকে তিনি ঝাড়খণ্ডের রাজেন্দ্র মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি আছেন। যে তিনটি মামলায় তিনি জেলে আছেন, তার দুটিতে ইতিমধ্যেই জামিন মিলেছে। দেওঘর ট্রেজারি মামলায় গতবছর এবং চাইবাসা মামলায় এবছর ৯ অক্টোবর জামিন পেয়েছেন তিনি। কিন্তু জেল থেকে মুক্তি পেতে হলে তাঁকে দুমকা ট্রেজারি মামলাতেও জামিন পেতে হবে। যে মামলার শুনানি ছিল আগামী ৯ নভেম্বর। সেদিনই আবার এই মামলায় জেলের মেয়াদের অর্ধেক পূরণ হচ্ছে লালুর। তাঁর দল আরজেডির আশা ছিল লালু যাদব ৯ নভেম্বর জামিন পেয়ে যাবেন। এবং ১০ নভেম্বর ভোটের ফলপ্রকাশের সময় ছেলে তেজস্বী এবং অন্যান্য দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশে থাকবেন। কিন্তু সেগুড়ে বালি। ঝাড়খণ্ড হাই কোর্ট তাঁর জামিনের মামলার শুনানি আগামী ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত পিছিয়ে দিয়েছে। কোনওভাবেই ১০ তারিখ ভোটের ফলের আগে মুক্তি পাচ্ছেন না তিনি।
[আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থ ট্রাম্প! ‘বন্ধু’র পরাজয়ের ইঙ্গিত মিলতেই সুরবদল নাড্ডার]
যার অর্থ ২০২০ বিধানসভা নির্বাচনের পুরো প্রক্রিয়া থেকেই দূরে থাকতে হল লালুকে। সেই ১৯৭৭ সালে প্রথমবার সাংসদ হওয়ার পর থেকে বিহারের প্রতিটি নির্বাচনেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রগুলির মধ্যে একটি ছিলেন লালুপ্রসাদ। চার দশক বাদে এবারেই হল ব্যতিক্রম। অবশ্য লালু সশরীরে না থাকলেও এই নির্বাচন অবশ্য হচ্ছে তাঁর ছায়াতেই। বিজেপির (BJP) প্রচারে বারবার উঠে এসেছে লালুর জঙ্গলরাজ প্রসঙ্গ। আবার আরজেডি যতই রোজগারের কথা বলুক, লালুর তৈরি যাদব-মুসলিম ভোটব্যাংকই মূল ভরসা তেজস্বীর। তবে এটাও ঠিক যে, ১৫ বছর বাদে তেজস্বীর (Tejaswi Yadav) হাত ধরেই বিজেপি-জেডিইউ জোটকে চ্যালেঞ্জ করছে আরজেডি। আর সেটা সম্ভব হচ্ছে লালুর অনুপস্থিতিতেই।