সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহারে (Bihar Election 2020) শেষদফায় ৭৮ আসনে চলছে নির্বাচন। কোশি-সীমাঞ্চল এলাকার ১৯টি জেলায় ছড়িয়ে এই ৭৮টি আসন। মোট ১ হাজার ২০৪ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে আজ। ভোট দেবেন ২ কোটি ৩৪ লক্ষ ভোটার। সকাল ৭টার সময় করোনা বিধি মেনে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। চলবে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত। যে ১৯টি জেলায় এই পর্বে ভোট হচ্ছে তার মধ্যে বিহারের সবচেয়ে বেশি করোনা প্রভাবিত ১০ জেলাই রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই, ভোটকেন্দ্রগুলিতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। তবে ভোটকেন্দ্রের বাইরের ছবিটা আগের মতোই বিপজ্জনক।
বিধানসভা নির্বাচনের পাশাপাশি বাল্মীকিনগর লোকসভা আসনের উপনির্বাচনেও চলছে ভোটগ্রহণ। জনতা দল ইউনাইটেডের সাংসদ বৈদ্যনাথ মাহাতোর মৃত্যুতে এই কেন্দ্রটিতে হচ্ছে উপনির্বাচন। এখানে সরাসরি লড়াই জেডিইউ (JDU) এবং কংগ্রেসের (Congress) মধ্যে। করোনা সংকট উপেক্ষা করে বিহারের প্রথম দু’দফায় বেশ ভাল হারেই ভোট পড়েছে। তৃতীয় দফাতেও সকাল থেকেই ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ভোটারদের রেকর্ড সংখ্যায় ভোট দিতে অনুরোধ করেছেন। এদিন সকালে এক টুইটে প্রধানমন্ত্রী বলেন,”আজ বিহারের তৃতীয় পর্বের ভোটগ্রহণ। সব ভোটারদের কাছে আমার অনুরোধ বড় সংখ্যায় ভোটগ্রহণ করুন এবং ভোটদানের নতুন রেকর্ড গড়ুন।” আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবও বিহারবাসীকে ভোটদানে উৎসাহিত করেছেন।
[আরও পড়ুন: এখনই মিলছে না জামিন! চার দশক পর ভোটগণনার দিন বিহারে থাকবেন না লালু]
তৃতীয় পর্বে যে ৭৮ আসনে ভোট হচ্ছে তা মূলত গঙ্গার উত্তরপাড়ে কোশি-সীমাঞ্চল এলাকায়। এই এলাকাগুলি বহুদিন ধরেই আরজেডির গড় হিসেবে পরিচিত। গত নির্বাচনে এই ৭৮ আসনের মধ্যে মহাজোট শিবির পেয়েছিল ৫৪ আসন। তবে, সেসময় নীতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেড ছিল মহাজোট শিবিরে। তারা একাই পেয়েছিল ২৪ আসন। লালুর আরজেডি পেয়েছিল ২০ আসন। কংগ্রেস পেয়েছিল ১০ আসন। বিজেপি একাই পেয়েছিল ২০ আসন। বাকি বিজেপির ছোট জোটসঙ্গীরা পায় ৪ আসন। এবারেও মূল লড়াই আরজেডি-কংগ্রেস এবং বামেদের মহাজোটের সঙ্গে বিজেপি-জেডিইউ জোটের। তবে, এই লড়াইয়ে এবারে উদয় হয়েছে তৃতীয় পক্ষের। তিনি হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি (Asaduddin Owaisi)। এই পর্বে কিষেণগঞ্জ, আরারিয়া, পূর্ণিয়া, কাটিহারের মতো জেলার বহু আসনে মুসলিম ভোটের সংখ্যা ৪০ থেকে ৭০ শতাংশ। এই এলাকাগুলি আরজেডির সহজেই জেতার কথা ছিল। কিন্তু এই ধরনের ২৪ আসনের মধ্যে ১৪টিতেই এবার প্রার্থী দিয়েছেন ওয়েইসি। হায়দরাবাদের সাংসদ নিজে জোরকদমে ভোটপ্রচার করেছেন। এই এলাকায় মিম-মহাজোটের ভোট কাটাকাটির দিকে তাকিয়ে গেরুয়া শিবির।