সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৫ বছরের প্রতিষ্ঠান বিরোধিতাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে বিহারে ফের ক্ষমতায় আসতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। আরজেডি-কংগ্রেস জোটের দ্বিগুণ আসন পেতে পারে শাসক জেডিইউ-বিজেপি জোট। এমনটাই ইঙ্গিত দিল টাইমস নাও-সি ভোটারের ওপিনিয়ন পোল। যাতে দেখানো হয়েছে এই মুহূর্তে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য তেজস্বী যাদবের (Tejashwi Yadav) চেয়ে দ্বিগুণ জনপ্রিয় নীতীশ।
২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় (Bihar Election 2020) এবার জোট বেঁধে লড়াই করছে বিজেপি (BJP), জেডিইউ (JDU), জিতন রাম মাঝির হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চা, এবং বিকাশশীল ইনসান পার্টি। অন্যদিকে, বিরোধী শিবিরে আছে লালুপ্রসাদের আরজেডি (RJD), কংগ্রেস (Congress) এবং বাম দলগুলি। আসাদউদ্দিন ওয়েসির এআইএমআইএম, মায়াবতীর বিএসপি, উপেন্দ্র কুশওয়াহর আরএলএসপি, এবং কয়েকটি ছোট স্থানীয় দল মিলিয়ে তৈরি হয়েছে তৃতীয় ফ্রন্ট। এছাড়া পৃথকভাবে ভোটের ময়দানে অবতীর্ণ হয়েছে চিরাগ পাসওয়ানের এলজেপি।
[আরও পড়ুন: ‘অন্য দেশের সঙ্গে হাত মেলানো রাষ্ট্রদ্রোহিতা’, ফারুক আবদুল্লাকে বিঁধলেন সম্বিত পাত্র]
টাইমস নাও-সি ভোটারের সমীক্ষা বলছে এই চার পক্ষের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে বিজেপি-জেডিইউয়ের এনডিএ (NDA)। ২৪৩ আসনের মধ্যে ১৬০টিই যেতে পারে এনডিএ শিবিরে। এবারের বিহার বিধানসভায় বৃহত্তম দল হতে পারে বিজেপি। তাঁরা একাই পেতে পারে ৮৫টি আসন। দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হতে পারে নীতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেড। তাঁদের দখলে যেতে পারে ৭০টি আসন। এনডিএর অন্য সঙ্গীরা পেতে পারে আরও ৫টি আসন। আরজেডি যারা কিনা আগের নির্বাচনে বৃহত্তম দল ছিল এবার তাঁরা নেমে আসতে পারে তৃতীয় স্থানে। তাঁদের দখলে যেতে পারে মাত্র ৫৬টি আসন। কংগ্রেস পেতে পারে ১৫টি, বাম দলগুলির দখলে যেতে পারে মাত্র ৫টি আসন। এলজেপি পেতে পারে ৫টি আসন, বাকিদের দখলে যেতে পারে মাত্র ২টি।
[আরও পড়ুন: ধনকড় ইস্যুতে মমতার অবস্থানকেই সমর্থন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের]
অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য এখনও বিহারবাসীর প্রথম পছন্দ নীতীশ কুমার। রাজ্যের ৩২ শতাংশ মানুষ ফের কুরসিতে নীতীশকেই দেখতে চাইছেন। দ্বিতীয় স্থানে তেজস্বী যাদব। তাঁকে চাইছেন রাজ্যের ১৭.৬ শতাংশ মানুষ। বিজেপির সুশীল মোদিকে চাইছেন ১২.৫ শতাংশ মানুষ। ৮.৭ শতাংশ মানুষ জেলবন্দি লালুপ্রসাদ যাদবকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে দেখতে চাইছেন। ওই সমীক্ষায় বলা হয়েছে, নীতীশ কুমার ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার দরুন তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা আছে। কিন্তু জাতপাতের সামজিক সমীকরণে বিহারে অনেকটাই এগিয়ে এনডিএ শিবির।
