সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খুন নাকি আত্মহত্যা? বিহারের (Bihar) সমস্তিপুরে বাড়ি থেকে একই পরিবারের পাঁচ সদস্যের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য। আর্থিক সমস্যার জেরে এই ঘটনাটি ঘটেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। আপাতত দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কিছু বলা সম্ভব নয় বলেই মনে করা হচ্ছে।
রবিবার সকালে বিহারের সমস্তিপুরের মউ গ্রামে একটি বাড়ি থেকে একই পরিবারের পাঁচ সদস্যের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। বিদ্যাপতিনগরের পুলিশ সুপার নিহতদের নাম ও পরিচয় প্রকাশ করেন। নিহতেরা হলেন, মনোজ ঝাঁ, তাঁর মা সীতাদেবী, স্ত্রী সুন্দরমণি দেবী, দুই সন্তান – সত্যম কুমার এবং শিবম। সত্যমের মাত্র দশ বছর বয়স। শিবম আট বছর বয়সি। মনোজের মেয়েই একমাত্র জীবিত।
[আরও পড়ুন: ফের কলকাতার রাস্তায় বেপরোয়া গতি, ডিভাইডারে ধাক্কা দিতেই গাড়ি থেকে ছিটকে পড়লেন যাত্রীরা]
নিহতের মেয়ে জানান, তাঁর বাবা মনোজ পেশায় ব্যবসায়ী। খৈনি-সহ বিভিন্ন তামাকজাত পণ্য মনোজের দোকানে বিক্রি হয়। আয় খুব বেশি হত না। অথচ সেই টাকায় গোটা সংসারের যাবতীয় খরচ সামলাতে হত মনোজকে। নিহতের মেয়ে আরও জানান, মেয়ের বিয়ে দিতে গিয়ে মনোজের বেশ কিছু টাকার প্রয়োজন ছিল। ৩ লক্ষ টাকা ধার করেছিলেন তিনি। গত তিন মাস যাবৎ টাকা ফেরত দিতে পারছিলেন না মনোজ।
তা নিয়ে ঋণদাতার সঙ্গে মনোজের মনোমালিন্য লেগেই ছিল। অভিযোগ, ঋণদাতা তাঁর উপর নানারকম অত্যাচার করত। সে মনোজের প্রাণনাশের হুমকি দিত বলেও অভিযোগ। আতঙ্কে কখনই মনোজ পুলিশের দ্বারস্থ হননি বলেই দাবি। নিহতের মেয়ের অভিযোগ, ওই ঋণদাতাই মনোজ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের খুন করেছে। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত ওই পরিবারের সদস্যদের কীভাবে মৃত্যু হয়েছে, তা নিয়ে কিছুই বলতে নারাজ পুলিশ।