সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের হাথরাসের ছবি এবার বিহারের জেহানাবাদ। পুণ্যলাভের আশায় ফের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। শ্রাবণ মাসের চতুর্থ সোমবার মহাদেবের জলাভিষেকের জন্য বিহারের সিদ্ধেশ্বরনাথ মন্দিরে জড়ো হয়েছিলেন পুণ্যার্থীরা। সেখানেই ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট হয়ে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ৫ জন মহিলা। পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও ৩৫ জন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, শ্রাবণ মাসের চতুর্থ সোমবার উপলক্ষে রবিবার রাত থেকে পুণ্যার্থীদের ভিড় জমতে থাকে সিদ্ধেশ্বরনাথের মন্দিরে। রাত ১২টা নাগাদ ভিড়ের চাপ ব্যাপক আকার নেই। মুহূর্তের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ওই চত্ত্বর থেকে বেরিয়ে আসার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায় তাতেই পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারান ৭ জন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান জেহানাবাদের স্টেশন ইনচার্জ দিবাকর কুমার বিশ্বকর্মা। পুলিশ সুপার ও জেলাশাসকও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দিবাকর বিশ্বকর্মা বলেন, মৃত ৭ জনের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘কল বা হোয়াটস অ্যাপ করবেন না’, হ্যাকিংয়ের শিকার হয়ে বার্তা সুপ্রিয়া সুলের]
এদিকে এই দুর্ঘটনার জন্য কর্তৃপক্ষের গাফিলতির দিকে আঙুল তুলেছেন ভক্তরা। তাঁদের অভিযোগ, এখানে ভিড় নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে ছিল এনসিসি সদস্যরা। ভিড় সামালাতে ভক্তদের উপর লাঠি চালায় তাঁরা। যার জেরেই মন্দির চত্বরে হুড়হুড়ি পড়ে যায়। যার পরিণতি এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। এক ভক্ত বলেন, লাঠির ঘা থেকে বাঁচতেই মানুষজন ছোটাছুটি শুরু করে। এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী পুলিশ প্রশাসন। এসডিও বিকাশ কুমার অবশ্য লাঠি চার্জের জেরে এই ঘটনা বলে মানতে নারাজ। তাঁর দাবি এটা নিছকই দুর্ঘটনা। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।