সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাতে মাত্র কয়েকটা দিন৷ দোরগোড়ায় রাখিবন্ধন উৎসব। তবে এবারের রাখিপূর্ণিমায় দীর্ঘায়ু কামনা করে ভাইয়ের হাতে বিশেষ ধরনের রাখি বেঁধে দিতে পারেন আপনিও। হ্যাঁ, উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা আলখা লাহোটির এবারের চমক, গোবর বা ঘুঁটে দিয়ে তৈরি পরিবেশবান্ধব রাখি।
[আরও পড়ুন:ফাঁদ পেতেছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরাই! উন্নাওয়ের নির্যাতিতার দুর্ঘটনায় উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য]
চাকরি সূত্রে ইন্দোনেশিয়ায় থাকতেন উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা আলখা লাহোটি। একা হাতে গ্রামের বাড়ির বিশাল গোশালা, বিপুল সংখ্যক গোরুর দেখাশোনা করে উঠতে পারছিলেন না আলখার বাবা। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই ইন্দোনেশিয়ার চাকরি ছেড়ে গ্রামে ফেরেন তিনি। এরপরই ভাবনাচিন্তা শুরু করেন, বাড়ির ১১৭ টি গরুর গোবর ঠিক কী কী কাজে লাগানো যায়।
সেইমতো গবেষণা শুরু করেন আলখা লাহোটি। সাফল্যও মেলে৷ এবছর তাঁদের চমক, গোবর বা ঘুঁটে দিয়ে তৈরি পরিবেশ বান্ধব রাখি। এ প্রসঙ্গে আলখা বলেন, ‘প্রতি বছর কুম্ভে আমার তৈরি রাখি পরিবেশন করি। সেখানে এই বিশেষ রাখি বেশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। জনগণের মধ্যেও এই রাখির চাহিদা বাড়ছে। তবে সারা দেশব্যাপী কীভাবে এর প্রসার বাড়ানো যায়, তার জন্য কয়েকজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলেছি। ইতিমধ্যে কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও ওড়িশাতে এই রাখির চল শুরু হয়েছে। এবছর উত্সবকে মাথায় রেখে হাজারেরও বেশি রাখি তৈরি করা হয়েছে।’
[আরও পড়ুন: মার্কিন চোখ রাঙানিকে থোড়াই কেয়ার, এবার আর-২৭ মিসাইল কিনল ভারত]
কীভাবে তৈরি হয়েছে এই রাখি?
আলখা জানিয়েছেন, ‘গোবর দিয়ে রাখি বানানোটা বেশ চ্যালেঞ্জের। কারণ, গোবর খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। তার উপর সেটিকে রাখি বানানোর জন্য বেশ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়েছে। অবশেষে শক্ত ও মজবুত রাখি বানাতে সক্ষম হয়েছি। অন্ধকার ও ঠান্ডা জায়গায় রাখা যাবে, এমন রাখিও বানাতে সক্ষম হয়েছি। তার উপর নানান আকৃতির, ডিজাইনের রাখি তৈরি করা। এই রাখির আরও একটি বৈশিষ্ট্য হল, এতে পরিবেশ বান্ধব রং ব্যবহার করা হয়। এছাড়া এই রাখির মধ্যে প্লাস্টিক থাকে, যেটি ব্যবহারের পর ফেলে দিলে নষ্ট হয়ে যায়। চিনের তৈরি রাখিগুলির মতো একদমই নয়। প্লাস্টিক থাকলেও এই রাখি একেবারেই প্লাস্টিক মুক্ত।’ এবার এটাই দেখার, সামনের রাখিতে ঠিক কতটা সাড়া ফেলে এই পরিবেশবান্ধব রাখি।
The post গোবর দিয়ে পরিবেশবান্ধব রাখি বানালেন উত্তরপ্রদেশের যুবক appeared first on Sangbad Pratidin.