সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হোটেলের বিল বকেয়া রয়েছে! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনল মাইসুরুর একটি হোটেল। তাদের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর ৮০ লক্ষ টাকারও বেশি বিল বাকি রয়েছে। আগামী ১ জুনের মধ্যে এই বকেয়া না মেটালে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে হোটেলটির তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
হোটেলটির তরফে জানানো হয়, গত বছরের এপ্রিল মাসের ৯ থেকে ১১ তারিখ পর্যন্ত সেখানে ছিলেন মোদি (Narendra Modi)। প্রজেক্ট টাইগার ইভেন্টের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী মাইসুরুতে গিয়েছিলেন। এই অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটি এবং পরিবেশমন্ত্রক। জানা গিয়েছে, খুব কম সময়ের নোটিসেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। গোটা অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য কর্নাটকের বনদপ্তরকে নির্দেশ দেয় দুই সংস্থা। আশ্বাস দেওয়া হয়, অনুষ্ঠানের যাবতীয় খরচ বহন করবে কেন্দ্র।
[আরও পড়ুন: ‘জেতার জন্য ভোটব্যাঙ্কের সামনে মুজরোও করতে পারেন ইন্ডিয়ার নেতার’, তোপ মোদির]
প্রাথমিকভাবে ৩ কোটি টাকা খরচ হবে বলে মনে করেছিলেন আয়োজকরা। যেহেতু খুব কম নোটিসে অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়, তাই অনুষ্ঠানের বাজেট বেড়ে দাঁড়ায় ৬.৩৩ কোটিতে। জানা গিয়েছে, অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরে কর্নাটকের বনদপ্তরের কাছে ৩ কোটি টাকা পাঠিয়ে দেয় কেন্দ্র। কিন্তু বাকি ৩.৩৩ কোটি টাকা এখনও বকেয়া রয়েছে। তার মধ্যেই রয়েছে মোদির ৮০.৬ লক্ষ টাকা হোটেল বিল।
গত সেপ্টেম্বরে এই বকেয়া চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি লিখেছিল কর্নাটক (Karnataka) বনদপ্তর। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, অনুষ্ঠানের বাকি খরচ মেটাতে হবে কর্নাটককেই। গত মার্চ মাসে আবারও কর্নাটকের তরফে কেন্দ্রকে চিঠি লেখা হয়। কিন্তু তার জবাব আসেনি, ফলে হোটেলের বিল মেটানোও সম্ভব হয়নি। এহেন পরিস্থিতিতে সরব হয়েছে মাইসুরুর (Mysuru) র্যাডিসন ব্লু প্লাজা হোটেল। তারা কর্নাটকের বনদপ্তরকে চিঠি লিখে সাফ জানিয়ে দিয়েছে, বকেয়া বিল এবং তার সঙ্গে জরিমানা হিসাবে জমা হওয়া সমস্ত অর্থ মিটিয়ে দিতে হবে ১ জুনের মধ্যে। তা না হলে আইনি পথে ব্যবস্থা নেবে হোটেল কর্তৃপক্ষ। তবে এই বিষয়টি নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি কেন্দ্র।