সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হোলির রঙে নয়, হামলাকারীর লোহার রডের আঘাতে রক্তে রাঙা হল অমৃতসরের স্বর্ণমন্দির! শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি হাতে লোহার রড নিয়ে স্বর্ণমন্দির চত্বরে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। রডের আঘাতে মন্দিরের স্বেচ্ছাসেবক-সহ ৫ জন গুরুতর জখম হন। তাঁদের ভর্তি করা হয়েছে স্থানীয় হাসপাতালে। হোলির দিন এমন হামলার ঘটনায় পুলিশের তৎপরতায় অকুস্থল থেকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় আততায়ীকে। স্বর্ণমন্দির চত্বরে প্রবল আতঙ্ক। তবে নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশ আশ্বস্ত করেছে। এই হামলার নেপথ্যে কোনও সন্ত্রাসবাদী যোগ রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ স্বর্ণমন্দিরের গুরু রামদাস লঙ্গরখানার পাশে একটি কমিউনিটি কিচেনে জড়ো হয়েছিলেন বহু মানুষ। কেউ কেউ কাজে ব্যস্ত ছিলেন, কেউ আবার প্রসাদ গ্রহণ করছিলেন। সেই ভিড়ে মিশে সেখানে ঢুকে হামলা চালায় এক ব্যক্তি। লোহার রড নিয়ে জনতার উপর মারমুখী হয়ে ওঠে। তাকে রুখতে যান কমিউনিটি কিচেনের দুই 'সেবাদার' (স্বেচ্ছাসেবক)। তাঁদের এলোপাথাড়ি মারা হয় বলে অভিযোগ। জনতার চিৎকার-চেঁচামেচি, হুড়োহুড়িতে তীব্র আতঙ্ক ছড়ায়। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করে। আহত ৫ জনকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী গুরু রামদাস ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁরা চিকিৎসাধীন।
পুলিশ অফিসার সারমেল সিং জানান, ধৃতের নাম জুলফান, সে হরিয়ানার বাসিন্দা। হামলার আগে সে আর তার এক সঙ্গী এলাকায় রেকি করেছিল। তারপর ভিড় বাড়তেই লোহার রড নিয়ে হামলা চালায়। জুলফানকে জেরা করে মোটিভ খোঁজার চেষ্টায় তদন্তকারীরা। বিশেষত হোলির দিনে স্বর্ণমন্দিরে হামলার মতো বড়সড় চক্রান্ত কোনও মাস্টারমাইন্ডের কাজ বলেই সন্দেহ করছে পুলিশ। স্বর্ণমন্দির কর্তৃপক্ষ, শিরোমণি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটির তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের শেষদিকে পাঞ্জাবের শিরোমণি অকালি দলের প্রধান সুখবীর সিং বাদল স্বর্ণমন্দিরের প্রবেশদ্বারে পরিষেবা দেওয়ার সময় তাঁর উপর হামলা হয়। তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চলে। যদিও গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় অক্ষত ছিলেন বাদল। তিনমাসের মধ্যে ফের স্বর্ণমন্দিরেই ভক্তদের উপর এমন আক্রমণের ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছেই। উসকে উঠছে অতীত স্মৃতি। আড়ালে খলিস্তানপন্থীদের মদত রয়েছে কি না, উঠছে সেই প্রশ্নও।