সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গাঁজা ও আফিমের উপর থেকে কি নিষেধাজ্ঞা তোলা উচিত? নাকি উচিত নয়? এই প্রসঙ্গ খুব শিগগিরিই উঠতে পারে দেশের সংসদে৷ সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই সংসদের পরিষদীয় কমিটি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে সম্মত হয়েছে৷ আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনেই গাঁজা-আফিমের বৈধতা প্রশ্নে তর্কে সামিল হতে পারেন সাংসদরা৷
গত বছর গাঁজা ও আফিমের বৈধতার দাবিতে সওয়াল তুলেছিলেন পাটিয়ালার সাংসদ ধরমবীরা গান্ধী৷ এরপরই ভারতীয় সংবিধানের নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট-এর সংশোধনের দাবি ওঠে৷ গাঁজা ও আফিমের পক্ষবাদীদের যুক্তি, গাঁজা শরীরের ব্যথা-বেদনা সারায়৷ এই কথার বর্ণনা রয়েছে ভারতবর্ষের প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় চিকিৎসাশাস্ত্রে৷ বেদনানাশক হিসেবে সুপ্রাচীন কাল থেকে আফিমের ব্যবহারও সুবিদিত৷
আর বর্তমানে গাঁজা ও আফিমের চাইতেও বেশি ক্ষতিকর মাদক বাজারে ছড়িয়ে পড়েছে৷ যেগুলিকে ‘হার্ড ড্রাগস’ বলা হয়ে থাকে৷ এই ‘হার্ড ড্রাগস’-এর জন্য আন্তর্জাতিক মহলে চোরাচালানের রমরমা৷ গাঁজা ও আফিম সেই তুলনায় অনেক কম ক্ষতিকর৷ আর নিয়ন্ত্রিত হারে এগুলি সেবন করলে মানুষের শরীরের তেমন কোনও ক্ষতি হয় না৷ বরং অনেক ক্ষেত্রে এগুলি প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে থাকে৷ সেই কারণেই সংবিধান সংশোধন করে এই দুই মাদককে ‘সফট ড্রাগস’ হিসেবে বৈধতা দেওয়ার দাবি উঠেছে৷
The post গাঁজা-আফিমের বৈধতা নিয়ে সংসদে আলোচনায় সম্মতি! appeared first on Sangbad Pratidin.