অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: জিটিএ নির্বাচন এখনই চান না, এই মর্মে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শনিবার চিঠি লিখেছিলেন বিমল গুরুং (Bimal Gurung)। জোর করে নির্বাচন চাপিয়ে দিলেন আমরণ অনশনের হুমকিও দিয়েছিলেন। তবে রবিবার তিনি আরও এক ধাপ এগিয়ে অনশন শুরুর ঘোষণা করে দিলেন। সোমবার থেকেই অনশন শুরু করছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা (GJM)। জানালেন, দার্জিলিংয়ের চৌরাস্তায় যুব মোর্চার সদস্যরা রিলে অনশন করবেন। দু’দিন পর ফের পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের আগে কোনওভাবেই জিটিএ নির্বাচন মেনে নেওয়া হবে না বলে রবিবার ফের স্পষ্ট করে দেন মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুং।
পাহাড়ের উন্নয়নের স্বার্থে জিটিএ (GTA) নির্বাচন করাতে চাইছে রাজ্য সরকার। জুন মাসেই এই নির্বাচন করানোর পরিকল্পনা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পুন্নমবলমকে নির্বাচন আধিকারিক ঘোষণা করা হয়েছে। হামরো পার্টি থেকে শুরু করে ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা – সব রাজনৈতিক দলই প্রস্তুত লড়াইয়ের জন্য। কিন্তু বেঁকে বসেছে তৃণমূল কংগ্রেসের সহযোগী দল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা।
[আরও পড়ুন: ‘হিন্দুদের ধর্মান্তরের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে’, কালিয়াচকের আইসির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ সুকান্ত মজুমদারের]
তাদের দাবি, আগে পাহাড় সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে হবে তারপর নির্বাচন। এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (CM Mamata Banerjee) চিঠিও পাঠিয়েছেন বিমল গুরুং। তার দাবি, স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের পাশাপাশি ১১ গোর্খা জনজাতিকে তফশিলি উপজাতির মর্যাদা দিতে হবে। এবিষয়ে তিনি দ্বিপাক্ষিক আলোচনাও করতে চেয়েছেন রাজ্যের সঙ্গে। তবে হুমকিও দিয়েছেন, যদি তাঁর দাবি না মানা হয়, তাহলে আমরণ অনশনে (Hunger strike) বসবেন।
[আরও পড়ুন: পার্টির হোলটাইমার থেকে বড় দায়িত্ব, নতুন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বেছে নিল DYFI]
রবিবার ফের সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিমল গুরুং বলেন, “জিটিএ নির্বাচনের বিরুদ্ধে আমাদের যুব শাখা সোমবার থেকেই অনশন শুরু করছে। দুদিন তাদের এই রিলে অনশন চলবে। এর মধ্যে সরকার আলোচনায় ডাকলে ভাল, নইলে পরবর্তীতে আমরাও অনশনে বসে পড়ব।” এদিকে বিমল গুরুং এহেন সিদ্ধান্ত নিয়ে অন্য দল মাথা ঘামাতে নারাজ। এ নিয়ে কেউ মন্তব্য করতেও চাননি।