শংকর ভট্টাচার্য: শাশুড়ির হাতে কনকদুর্গার মার খাওয়া নিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকেই উত্তাল কেরল। চলছে শাশুড়ির কাজের প্রবল সমালোচনা আর সমর্থনও। সবরীমালা ইস্যুতে বিভক্ত কেরলের মালায়লি সমাজ কনকদুর্গার শাশুড়ির ভূমিকা নিয়েও দ্বিধাবিভক্ত। সোশ্যাল মিডিয়া উত্তাল।
[ ফের বিক্ষোভ সবরীমালায়, মন্দিরে প্রবেশে বাধা ২ মহিলাকে]
কিন্তু কী অবস্থা এখন? কনকদুর্গা হাসপাতালে। তাঁর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি এদিন। তবে তাঁর বান্ধবী বিন্দু কোঝিকোড় থেকে সংবাদ প্রতিদিনকে ফোনে জানালেন, “কনকের জন্য চিন্তা হচ্ছে। তবে এটা পুরোপুরি পারিবারিক অত্যাচারের বিষয়। শাশুড়ি বৃদ্ধা। তাঁর বয়স হয়েছে। তাঁর ভূমিকা নিশ্চিতভাবেই নিন্দনীয়। কনকের কাজকর্ম শ্বশুরবাড়ির পরিবারের কেউ মেনে নিতে পারেননি। রক্ষণশীল ওঁরা। তবে তাঁদের বোঝানোটাই তো আমাদের কাজ। যে লড়াই আমরা শুরু করেছি, তা তো এখনও অনেক বাকি। তা বোঝাই যাচ্ছে।” কিন্তু শাশুড়ির বিরুদ্ধে আপনারা কি অভিযোগ দায়ের করবেন? বিন্দু নিজে কান্নুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপিকা। তিনি জানালেন, “শাশুড়ির বিরুদ্ধে কনক অভিযোগ জানাবে না। পরিবারের সদস্যদের বোঝানোটাই আসল লক্ষ্য। যুদ্ধ করা নয়।”
এই ঘটনায় কিন্তু পুলিশ মামলা দায়ের করেছেন কনক। উলটোদিকে কনকের শাশুড়িও পালটা অভিযোগ দায়ের করেছেন বউমার বিরুদ্ধে। কনকের পরিবার রক্ষণশীল। নায়ার সম্প্রদায়ভুক্ত। নায়ারদের অধিকাংশই মহিলাদের মন্দিরে প্রবেশের বিরুদ্ধে। বিন্দুর বক্তব্য, আমাদের লড়াই কখনই নায়ার বনাম এঝাভা বনাম ব্রাহ্মণের নয়। গোটা সমাজকে গোঁড়ামি থেকে মুক্ত করার জন্যই এত কষ্ট স্বীকার করছি আমরা। তা তো গোড়া থেকেই শুরু করতে হবে।” কিন্তু আপনাকে কি কোনও সমস্যায় পড়তে হয়েছে? কান্নুর জেলার তালেশ্বরী থেকে তিনি জানালেন, “আমার পরিবারে কোনও সমস্যা হয়নি। আমার স্বামী হরিহরণ পাশেই রয়েছেন। প্রথম থেকেই উনি আমাকে সমর্থন দিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু কনকের জন্যই বেশি চিন্তা হচ্ছে। ওকে এখন কোঝিকোড় মেডিক্যাল কলেজে ভরতি করা হয়েছে। ভাল আছে।’’ কেরলে ক্ষমতাসীন বাম ও গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট দুই মহিলার পাশে দাঁড়িয়েছে।
[অচলায়তন ভেঙে নজির, ‘নিষিদ্ধ’ অগস্ত্যকোডমে পা রাখলেন এক মহিলা]