নন্দন দত্ত, বীরভূম: হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে স্ত্রীকে খুন। তারপরই আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন স্বামী। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) ময়ূরেশ্বরে। ইতিমধ্যেই মহিলার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অভিযুক্ত।
জানা গিয়েছে, বীরভূমের ময়ূরেশ্বর (Mayureswar) ব্লকের ঢেকা পঞ্চায়েতের সেলাহাট গ্রামের বাসিন্দা অচিন্ত্য ভল্লা। তাঁর স্ত্রী ছবি ভল্লা। ছেলে, বউমা ও নাতি-নাতনিদের নিয়ে সংসার ছিল তাঁদের। প্রতিবেশী সূত্রে খবর, অচিন্ত্য ও ছবির মধ্যে বনিবনা ছিল না। অশান্তি লেগেই থাকত। অভিযোগ, গত দুদিন নাকি ছেলেদের সঙ্গে পরামর্শ করে স্বামীকে খেতে দেননি ছবি। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার সকালে অচিন্ত্য ও ছবির ঝামেলা চরমে ওঠে। সেই সময়ই অচিন্ত্য স্ত্রীর উপর হাঁসুয়া নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আটকাতে গিয়ে প্রথমেই হাতের কয়েকটি আঙুল কেটে যায় মহিলার। তারপর স্বামী ছবির গলায় এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে।
[আরও পড়ুন: আচমকা অসুস্থ দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, ভরতি হাসপাতালে]
পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা বিষয়টা জানতে পেরে তড়িঘড়ি মহিলাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় সাঁইথিয়ার হাসপাতালে। পরে তাঁকে সিউড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। এদিকে স্ত্রীর মৃত্যুর খবর পেয়েই কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অচিন্ত্য। তড়িঘড়ি তাঁকেও উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসা চলছে তাঁর।
এ বিষয়ে মৃতার বড় ছেলে আনন্দ ভল্লা জানান, মাকে খুনের জন্য বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঠিক কী হয়েছিল তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে মৃতের পরিবার, পরিজনদের সঙ্গেও কথা বলবেন পুলিশ আধিকারিকরা।