নন্দন দত্ত, সিউড়ি: অস্ত্র ব্যবসায়ীকে জালে এনে ভিন জেলায় বড়সড় অস্ত্র কারখানার হদিশ পেল বীরভূম (Birbhum) পুলিশ। আর সেই সূত্রে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র। শনিবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad)ভরতপুর থানার পুলিশের সাহায্যে শুনিয়া গ্রামে অভিযান চালায়। অভিযুক্ত অস্ত্র ব্যবসায়ী মুর্শেদ শেখের বাড়ির হদিশ মেলে। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় অস্ত্র (Arms) তৈরির সরঞ্জাম ও অস্ত্র। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এত বড় অস্ত্র কারখানার খোঁজ পাওয়া পুলিশের সাফল্য বলে দাবি মাড়গ্রাম থানার।
গত বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদ থেকে বীরভূম ঢোকার পথে মাড়গ্রামের (Margram) কালীদহ সেতুর কাছে এক মোটরবাইক আরোহীকে আটকায় পুলিশ। তার কাছ থেকে ৫ টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। আরোহীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জানা যায়, তার নাম মুর্শেদ শেখ, বয়স ৩৮ বছর। তাকে আদালতে পেশ করে ৭ দিনের হেফাজতে নেয় পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের অস্ত্র কারখানার হদিশ পান তদন্তকারীরা।
[আরও পড়ুন: যৌন মিলনের পর নিজের স্ত্রীকে বন্ধুকে দিয়ে ‘ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত]
এরপর ভরতপুর থানার পুলিশের সাহায্যে শনিবার রাতে সেখানে অভিযান চালায় মাড়গ্রাম থানার পুলিশ। নেতৃত্বে ছিলেন ওসি জহিদুল ইসলাম। শুনিয়া গ্রামে মুর্শেদ শেখের বাড়ি। সেই বাড়ির শৌচালয়ের পাশে একটি গোপন ঘরে অস্ত্রের কারবার চলত। জানা যায়, সেখানে অস্ত্রশস্ত্র তৈরি হত এবং তা মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, নদিয়ায় সরবরাহ হতো।
[আরও পড়ুন: জয়েন্ট পাশ না করেও ‘কোটা’য় ডাক্তারি! বাম আমলের তালিকা চাইলেন কুণাল]
এর আগে বীরভূমের মল্লারপুর থেকে ১৮০ কেজি বোমার মশলা-সহ রমজান শেখ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। তার কাছ থেকেই মুর্শেদ শেখের নাম জানা যায়। জানা যায়, ২০১৬ সালে জেলবন্দি থাকাকালীন মুর্শেদ শেখ কয়েকজন দুষ্কৃতীর সংস্পর্শে আসে। তাদের হাত ধরেই অস্ত্র কারবার শুরু করে মুর্শেদ। পুলিশ এও জানতে পেরেছে, ওই দুষ্কৃতীরা মুর্শেদের বাড়ির গোপন কারখানায় এসে অস্ত্র তৈরি করত, তারপর ফের চলে যেত অন্যত্র। মাড়গ্রাম থানার পুলিশের দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayet Election) আগে এই অস্ত্র কারখানার হদিশ তাদের বড় সাফল্য।