নন্দন দত্ত, সিউড়ি: এক যুবককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল তাঁরই তিন বন্ধুর বিরুদ্ধে। বীরভূমের ময়ূরেশ্বরের বহড়া গ্রামের বাগদি পাড়ার ঘটনায় হতবাক প্রায় সকলে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। যুবকের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
বছর বাইশের বিক্রম বাগদি ময়ূরেশ্বরের বহড়া গ্রামের বাগদি পাড়ার বাসিন্দা। শুক্রবার সন্ধেয় বাড়িতেই ছিলেন তিনি। সেই সময় অভিজিৎ, গোপাল, বাপি বাগদি নামে এলাকারই তিন যুবক তাঁর বাড়িতে আসে। ময়ূরেশ্বর ষাটপলতা গ্রামে হাটে যাওয়ার কথা বলে। বন্ধুদের সঙ্গে হাটে যাওয়ার কথা জানিয়ে বাড়ি থেকে বেরোন বিক্রম। যুবকের পরিবারের দাবি, বিক্রম ও তাঁর তিন বন্ধু হাটে যান। ফেরার সময় বাগদি পাড়ার অদূরেই মদের আসর বসে। ওই আসরে ছিলেন বিক্রমও। মদের আসরে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে ঝগড়াঝাটি হয়। অভিযোগ, বিক্রমের উপর লোহার রড দিয়ে হামলা চালানো হয়। তাতেই মৃত্যু হয় তাঁর।
[আরও পড়ুন: ভাতারের স্কুলের অঙ্কের শিক্ষক ও ভূগোলের শিক্ষিকার ভিডিও ভাইরাল! উঠছে সাসপেন্ডের দাবি]
বিক্রমের পরিবারের কেউ এই খুনের ঘটনা মানতে পারছেন না। বিক্রমের বাবা নয়ন বাগদি বলেন, “আমার ছেলেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছে। ওর গোপনাঙ্গে চাপ দিয়ে খুন করা হয়েছে।” বিক্রমের পিসি পূর্ণিমা বাগদি এখনও ভাইপোর মৃত্যুর বিষয়টি মানতেই পারছেন না। তিনি বলেন, “আমার ভাইপোর সঙ্গে কারও কোনও বিবাদ নেই। তা সত্ত্বেও কেন ওর বন্ধুরা বিক্রমকে খুন করল, তা বুঝতে পারছি না।”
এই ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত বিক্রমের ৩ বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিক্রমের শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। কীভাবে বিক্রম খুন হল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত কীভাবে খুন হল, সে বিষয়ে কিছুই স্পষ্টভাবে বলতে নারাজ পুলিশ আধিকারিকরা।