সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বার্থ সার্টিফিকেট (Birth Certificate) অর্থাৎ জন্ম শংসাপত্র নিয়ে এবার আরও কড়াকড়ির পথে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, সংসদের আসন্ন অধিবেশনে ১৯৬৯ সালের জন্ম রেজিস্ট্রেশন আইনে (BRD) সংশোধনী আনার কথা ভাবছে কেন্দ্র। প্রস্তাবিত সংশোধনী অনুযায়ী, জীবনের প্রায় সবক্ষেত্রেই বাধ্যতামূলক হতে চলেছে জন্ম সার্টিফিকেট। চাকরি থেকে শুরু করে সরকারি পরিষেবার সুবিধা, কোনও কিছুই মিলবে না বার্থ সার্টিফিকেট না থাকলে।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, কেন্দ্র যে সংশোধনীর প্রস্তাব দিচ্ছে তাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভরতি, ভোটার তালিকায় (Voter List) নাম তোলা, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারি চাকরি, ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং পাসপোর্ট পেতে হলে জন্ম সার্টিফিকেট থাকা বাধ্যতামূলক করা হবে। শুধু জন্ম সার্টিফিকেট নয়, ডেথ সার্টিফিকেটের (Death Certificate) ক্ষেত্রেও কড়াকড়ির পথে হাঁটবে কেন্দ্র। বলা হচ্ছে, হাসপাতালগুলি আগে যেমন মৃতের পরিজনদের ডেথ সার্টিফিকেট দিত, তেমন দেবে। তার পাশাপাশি মৃত্যুর কারণ সহকারে স্থানীয় প্রশাসনের কাছেও একটি ডেথ সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।
[আরও পড়ুন: বিধানসভায় মমতা-শুভেন্দু সাক্ষাৎ নিয়ে জোর জল্পনার মাঝেই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য দিলীপ ঘোষের]
১৯৬৯ সালের জন্ম রেজিস্ট্রেশন আইন অনুযায়ী এমনিতেই জন্ম ও মৃত্যুর রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক। সেটা না করাটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু তা সত্ত্বেও অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, জন্ম শংসাপত্র বা মৃত্যু শংসাপত্র তৈরির ক্ষেত্রে গাফিলতি করে পরিজনেরা। সেই গাফিলতি এড়াতেই এবার সবক্ষেত্রে বার্থ সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করার কথা ভাবা হচ্ছে। এর ফলে জনগণনা থেকে শুরু করে সরকারি কর্মসূচির সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দেওয়া, সবক্ষেত্রেই সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: DA ইস্যুতে সরকারি কর্মচারীদের পাশেই আছে সরকার, দাবি দুই মন্ত্রীর]
কেন্দ্রের দাবি, রাজ্য সরকারগুলি এবং সাধারণ নাগরিকদের সঙ্গে পরামর্শ করেই এই বিল আনা হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে সবকিছুর ক্ষেত্রেই যদি জন্ম সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক হয়, তাহলে আধার কার্ডের কাজটা কী? এত ঘটা করে আধার কার্ড (Aadhar Card) বানানোই হল কেন?