সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাতের রাজধানীতে দিল্লির মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিয়ালকে গাড়ির টেনে হিঁচড়ে ১৫ মিটার নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ‘সাজানো’। এবার এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, একটি সংবাদমাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে গোটা ঘটনা সাজিয়ে তার ভিডিও করা হয়েছে। উদ্দেশ্য দিল্লি পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা।
বিজেপি (BJP) নেত্রী শাজিয়া ইমি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। বলেন, “স্বাতী মালিওয়ালের সাহায্য নিয়ে আপ আদমি পার্টি ও এক সংবাদমাধ্যম একটি স্টিং অপারেশন করেছে। যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের। তাদের উদ্দেশ্য বেশ স্পষ্ট। দিল্লি পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা। কিন্তু দিল্লি পুলিশের সতর্কতার জেরেই তাদের সেই লক্ষ্য পূরণ হয়নি।” পাশাপাশি তিনি প্রশ্ন তুলে দেন, একটি সংবাদমাধ্যম টিআরপি পেতে এবং একটি রাজনৈতিক দল নিজেদের রাজনীতির স্বার্থে কি মহিলাদের নিরাপত্তাকে এভাবে ব্যবহার করতে পারে?
শাজিয়ার সুরেই গলা মিলিয়ে একই অভিযোগ তোলেন বিজেপি নেতা হরিশ খুরানাও। তাঁর প্রশ্ন, কেন রাত ২টো-৩টে নাগাদ গাড়ির চাবি কেড়ে নিচ্ছিলেন স্বাতী (Swati Maliwal)? তিনি এও বলেন, ঘটনার পর ১৪ ঘণ্টা এ নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করেননি স্বাতী। আসলে ‘সাজানো’ ভিডিওটি সামনে এনে দিল্লি পুলিশকে কাঠগড়ায় তোলাই ছিল উদ্দেশ্য।
[আরও পড়ুন: ঝালদা পুরসভা নিয়ে ফের জটিলতা, হাই কোর্টের নির্দেশে আপাতত পূর্ণিমা কান্দুই পুরপ্রধান]
বৃহস্পতিবার ভোররাত সোয়া তিনটে নাগাদ এইমস হাসপাতালের দু’নম্বর গেটের উলটোদিকে দাঁড়িয়ে ছিলেন দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী। আচমকাই তাঁর সামনে এসে দাঁড়ায় একটি গাড়ি। স্বাতীকে গাড়িতে ওঠার জন্য জোর করেন চালক। কিন্তু তাঁকে বারণ করে দেন স্বাতী। এরপর চালকের দিকে গিয়ে কথা বলতে গিয়ে জানলায় হাত রাখেন তিনি। তখনই জানলার কাচ তুলে দিয়ে গাড়ি চালাতে শুরু করেন চালক। জানলায় স্বাতীর হাত আটকে যাওয়া অবস্থাতেই প্রায় ১৫ মিটার দূরত্ব চলে যায় গাড়িটি। যে ঘটনা মনে করিয়ে দিয়েছিল পয়লা জানুয়ারির ঘটনা। রাজধানীতেই গাড়ি টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গিয়েছিল অঞ্জলি সিংকে। মৃত্যু হয় তাঁর। তবে সঙ্গীদের হস্তক্ষেপে বড়সড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পান স্বাতী। হরিশ চন্দ্র নামে ৪৭ বছর বয়সি ওই চালকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়।
কিন্তু ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসার পর অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, কথা বলার জন্য স্বাতী কেন চালকের আসনের দিকে জানলায় গেলেন? যখন তিনি চালকের প্রস্তাব অস্বীকারই করছিলেন, তখন সেদিকে যাওয়ার প্রয়োজন কি আদৌ ছিল?