রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: পার্থ-অনুব্রতর গ্রেপ্তারিকে হাতিয়ার করে এগোচ্ছে বিজেপি (BJP)। রাজ্যজুড়ে দুর্নীতির প্রতিবাদে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর নবান্ন অভিযানের ডাক দিল গেরুয়া শিবির। বিরোধীদের কর্মসূচি মোটেও সফল হবে না, মত আত্মবিশ্বাসী রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেপ্তারিকে হাতিয়ার করে বঙ্গ বিজেপি যে নানা কর্মসূচি নিতে চলেছে তা আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন নবনিযুক্ত পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল। আর তারপরই শুক্রবার ধর্মতলার প্রতিবাদ মঞ্চ থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার নবান্ন অভিযানের ডাক দেন। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছেন তিনি। বিভিন্ন জেলার কর্মী-সমর্থকদের নবান্ন অভিযানে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানিয়ে নবান্ন অভিযানের সিদ্ধান্ত। তবে বিজেপির নবান্ন অভিযানকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন পালটা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পদত্যাগের দাবি জানান।
[আরও পড়ুন: এবার অনুব্রতকে ‘বেডরেস্টে’র পরামর্শ দেওয়া চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারীর বাড়িতে হানা সিবিআইয়ের]
অনুব্রতকে গ্রেপ্তারির পরই রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে শামিল পদ্মশিবির। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গুড়-বাতাসা বিলি করে বিজেপি। ঢাক বাজাতেও দেখা গিয়েছে কর্মী-সমর্থকদের। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর রামনগর রোড এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে গুড়, বাতাসা বিলি করা হয়।
বাঁকুড়ায় রাস্তায় নেমে আন্দোলনে শামিল বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। ঢাক বাজাতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।
একের পর এক নির্বাচনে কার্যত পর্যুদস্ত হয়েছে বিজেপি। পুরভোটেও তেমন ভাল ফল করতে পারেনি তারা।স্বাভাবিকভাবেই হতাশ কর্মী-সমর্থকরা। তার উপর আবার রয়েছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সমস্যা। তার ফলে বঙ্গ বিজেপি ক্রমশই যেন দিশাহীন হয়ে পড়েছিল। রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেপ্তারিই যেন অক্সিজেন জোগাচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে। এবার দুর্নীতি ইস্যুকে হাতিয়ার করেই যে বাংলায় হারানো জমি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে পদ্মশিবির, তা একপ্রকার স্পষ্ট বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।