সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃতীয় দফার ভোটের আগে শুক্রবার বঙ্গ সফরে আসেন মোদি। পর পর তিনটি জনসভা করেন তিনি। তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে বর্ধমানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সভা শেষে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে সারলেন মধ্যাহ্নভোজ। প্রচণ্ড গরমে বাংলার দুই বিজেপি প্রার্থীর রসনাতৃপ্তি হল পান্তাভাতে। দিলীপ ঘোষের হুমকি, "তৃণমূলী সন্ত্রাসে জল ঢালবে বিজেপি।"
সোশাল মিডিয়ায় দুটি ছবি শেয়ার করেন দিলীপ ঘোষ। সঙ্গে লেখেন, "প্রচণ্ড গরমের হাত থেকে বাঁচতে, লু কাটাতে ভরসা পান্তাভাত। কৃষকরাও এই তপ্ত দুপুরে ধানখেতে বসে পান্তা দিয়েই মধ্যাহ্নভোজ সারেন। আমরা যারা এই রাজ্যে সমস্ত লোকসভা কেন্দ্রে পদ্ম ফোটানোর শপথ নিয়েছি, সুস্থ থাকতে আমাদের দুপুরের খাবারেও তাই পান্তা। সঙ্গে আছে মাছ ভাজা এবং মন্তেশ্বর বাজার থেকে আনা টাটকা কলমি শাক ভাজা, আচার, কাঁচা পিঁয়াজ এবং ছাতু দিয়ে আমার আর সুকান্তদার মধ্যাহ্নভোজ, সঙ্গী আড্ডা।"
এর পর রাজ্যের শাসক শিবিরকে চেনা ভঙ্গিমায় হুঁশিয়ারি দেন দিলীপ। ফেসবুক পোস্টে তাঁর হুঙ্কার, "গরম ভাতে জলের মতোই তৃণমূলী সন্ত্রাসের গরম হাওয়ায় জল ঢালবে বিজেপি।" তিনি আরও লেখেন, "সাধারণত কাজের ব্যস্ততায় দেখা-সাক্ষাৎ আমাদের হয় না বললেই চলে। বহুদিন পর নির্বাচনী প্রচারের ফাঁকে একসঙ্গে বসে খাওয়া হল।"
[আরও পড়ুন: রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তদন্তে SET গঠন, শ্লীলতাহানির অভিযোগ ‘অবিশ্বাস্য’, দাবি জেলবন্দি পার্থর]
উল্লেখ্য, শুক্রবার বর্ধমানে মোদি পৌঁছন প্রায় ১১টা নাগাদ। তার কিছুক্ষণের মধ্যে তালিতের সাঁই মাঠে সভা করেন। বর্ধমানের পর তিনি বীরভূমের উদ্দেশে রওনা হন। সেখানে বিজেপি প্রার্থী পিয়া সাহার সমর্থনে সভা ছিল তাঁর। মোদি বর্ধমান থেকে চলে যাওয়ার পরই দিলীপ ও সুকান্ত দুজনে মধ্যাহ্নভোজ সারেন। তবে যাই হোক না কেন পান্তাভাতের সঙ্গে যেন রাজনীতিকেই মেলালেন দিলীপ ঘোষ তা বলাই বাহুল্য।
বলে রাখা ভালো, বঙ্গ বিজেপির অন্তর্কলহের কথা বার বার সামনে এসেছে। একদা বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্তর সম্পর্ক তেমন ভালো নয় বলেও দাবি করেন রাজনৈতিক মহলের অনেকেই। এমনকী লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগেও শোনা গিয়েছে মেদিনীপুরের টিকিট দিলীপকে দেওয়ার ব্যাপারেও নাকি চূড়ান্ত বিরোধিতা করেছিলেন সুকান্ত-শুভেন্দুরা। এমনই সব কানাঘুষোর মাঝে দিলীপ ঘোষের এই পোস্ট বঙ্গ বিজেপির ফাটল ক্ষতে মলম বলেও দাবি করছেন রাজনৈতিক কারবারীদের অনেকেই।