সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আশা ছিল, জিতবেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত তিনি হেরে গিয়েছেন। তবুও খুশি বিজেপি (BJP) নেত্রী ইমারতি দেবী (Imarti Devi)। কেননা, নিজের জয়ের থেকেও তাঁর কাছে বেশি কাম্য ছিল মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের মুখ ম্লান হওয়া। এই কমল নাথই তাঁকে ‘আইটেম’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। রাজ্যের উপনির্বাচনের (Madhya Pradesh bypolls) ফলে কমল-গড় ধুলিসাৎ হওয়ার আনন্দে তাই নিজের হারের বেদনাও ভুলেছেনবিজেপি নেত্রী।
বিজেপি প্রার্থী ইমারতী দেবী সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করে উপনির্বাচনের আগে প্রবল বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছিল কমল নাথকে (Kamal Nath)। ১৮ অক্টোবর এক জনসভায় তাঁকে ‘আইটেম’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন কংগ্রেস নেতা। বিতর্ক গড়ায় আদালত পর্যন্ত। ফলে ডাবরা কেন্দ্রটি কার্যত কংগ্রেস ও গেরুয়া শিবির উভয়ের কাছে ছিল ‘প্রেস্টিজ ফাইট’-এর। মঙ্গলবার উপনির্বাচনের ভোটগণনা শুরুর পর থেকে দেখা গিয়েছিল, ডাবরা কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থীর চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন ইমারতি। দুপুর পর্যন্ত তিনি তাঁর নিকটতম কংগ্রেস প্রতিদ্বন্দ্বী সুরেশ রাজের থেকে প্রায় আড়াই হাজার ভোটে এগিয়েও ছিলেন। সেই সময় বিজেপি নেত্রী দাবি করেন, তিনি জিতছেন। পরে অবশ্য তিনি হেরে যান ৭,৬৩৩ ভোটে।
[আরও পড়ুন : ভিন্ন দিওয়ালির প্রস্তুতি, গোবর দিয়ে লক্ষ্মী-গণেশের মূর্তি ও প্রদীপ তৈরি করছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা]
তবুও দুঃখিত নন ইমারতি দেবী। ২৮টি আসনে ১৯টিতে জয় পেয়েছে বিজেপি। তা সত্ত্বেও তাঁর কেন্দ্রে তার প্রভাব পড়ল না কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে সংবাদমাধ্যমকে ইমারতি দেবী জানান, তাঁর কাছে কমল নাথের দলের পরাজয়ই বেশি কাম্য ছিল। তাঁর কথায়, ‘‘আমি ভগবানের কাছে প্রার্থনা করেছিলাম, আমি জিতি না জিতি, কমল নাথের যেন মুখ পোড়ে। সেটাই হয়েছে। সেই কারণে দেখুন, আমার মুখ এমন ঝলমল করছে খুশিতে!’’
[আরও পড়ুন : প্যাংগং থেকে শুরু হবে সেনা অপসারণ, সীমান্তে সংঘাত এড়াতে পদক্ষেপ ভারত-চিনের]
এদিকে হারের পর কমল নাথ টুইট করে জানান, জনাদেশ মেনে নিচ্ছে তিনি। সেই সঙ্গে সমস্ত ভোটারকে ধন্যবাদও জানান প্রৌঢ় নেতা। ২৩০ সদস্যের মধ্যপ্রদেশের বিধানসভায় এখন বিজেপি বিধায়কদের সংখ্যা দাঁড়াল ১২৬।