সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিনেপর্দার বাইরে রাজনৈতিক ময়দানেও কঙ্গনা রানাউত যেন ‘মণিকর্নিকা’। গেরুয়া শিবিরের প্রার্থীপদ পেতেই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন। শুক্রবার হিমাচলি ভূমিকন্যা মাণ্ডির মেগা রোড শো থেকেই হুঙ্কার ছাড়েন, “আমি এখানে হিরোইন নই, আমি মাণ্ডির মেয়ে।” রাজনীতির ময়দানে নবাগতা হলেও কথাবার্তায় কিংবা বডি ল্যাঙ্গুয়েজে, কোনও অংশে যে একজন নেত্রীর তুলনায় কম নন, সেটা ভোট প্রচারের মাঠে ঝাঁজেই বুঝিয়ে দিয়েছেন কঙ্গনা রানাউত।
এদিন হিমাচল প্রদেশের বনহা থেকে ভাম্বলা অবধি মেগা রোড শো করেন ‘মণিকর্নিকা’। আর সেখানেই নিজের রাজনৈতিক আদর্শ, অনুপ্রেরণার কথা জানান তিনি। বিজেপির তারকা প্রার্থী কঙ্গনার মন্তব্য, “আমি স্বামী বিবেকানন্দর ভক্ত। উনিই আমার মধ্যে জাতীয়তাবোধ জাগিয়েছেন। সাধগুরুজি, যাঁর অনুপ্রেরণায় আমি কর্মযোগী হয়েছি। আরেকজন মানুষ, যিনি আমার জীবনদর্শনকে দারুণভাবে প্রভাবিত করেছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এঁরাই আমার আদর্শ।”
[আরও পড়ুন: ‘ফিল্মি কেরিয়ার ব্যর্থ, তাই রাজনীতিতে আক্ষেপ মেটাচ্ছে’, হিরণকে তুলোধোনা দেবের!]
বক্স অফিসে বছরখানেক ধরেই মন্দা বাজার যাচ্ছে কঙ্গনা রানাউতের। হিটের মুখ দেখেননি বহুদিন হল! তবে ফিল্মিবাজারের ‘ফ্লপ পিচ’ থেকে রাজনৈতিক ময়দানে উত্তরণ হতেই যেন ফের রণংদেহি মেজাজে পর্দার ‘মণিকর্নিকা’। পয়লা ভোটপ্রচারেই জানিয়ে দিলেন যে, জিতলে কিংবা জনতা চাইলে তিনি পূর্ণসময়ের রাজনীতিক হবেন এবং মাণ্ডির মানুষের মঙ্গলসাধনে ব্রতী হবেন। কঙ্গনার মন্তব্য, “দীর্ঘদিন ধরেই রাজনীতিতে আসার পরিকল্পনা ছিল আমার। জনতা আমাকে এত ভালোবাসা দিয়ে সফল করেছে, এবার ওদের সেবা করার পালা। নারীশক্তি এবং সমানাধিকারের জন্য লড়াই করার সময় এসেছে এবার। আর সেইজন্যই বিজেপির মতো একটা প্ল্যাটফর্মের প্রয়োজন ছিল আমার। আপাতত রেকর্ড মার্জিনের ভোটে জেতার অপেক্ষায় রয়েছি।” সংসদে গিয়ে মাণ্ডির কণ্ঠস্বর হয়ে উঠবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দিলেন অভিনেত্রী পদ্মপ্রার্থী।
এদিকে ভোট মিটলেই ফের বক্স অফিসে কঙ্গনা রানাউতের ভাগ্যপরীক্ষা। চলতি বছরের জুন মাসের ১৪ তারিখ রিলিজ করবে অভিনেত্রীর ‘এমার্জেন্সি’। যে ছবিতে ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকায় দেখা যাবে তাঁকে।