shono
Advertisement

‘টিকিট না পেলেও জট পাকানো চলবে না’, দলীয় কোন্দল নিয়ে কড়া বার্তা নাড্ডার

রাজ্যে নব্য বনাম আদি বিজেপির কলহ নিয়ে উদ্বিগ্ন গেরুয়া শিবির।
Posted: 10:32 PM Dec 09, 2020Updated: 10:42 PM Dec 09, 2020

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বিগত লোকসভা নির্বাচন থেকেই বঙ্গে বিজেপির (BJP) পালে হাওয়া লেগেছে। শাসকদলের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী থেকে ‘মুমূর্ষু’ বাম কংগ্রেসের ভোট ব্যাংকে থাবা বসিয়ে রাজ্যে গেরুয়া নৌকা এগিয়েছেও তড়তড়িয়ে। তবে বাদ সেধেছে দলীয় কোন্দল। রাজ্যে নব্য বনাম আদি বিজেপির কলহে ভরাডুবির আশঙ্কা বাড়ছে বিজেপির। এদিন রাজ্যে এসে এই বিষয়টিই তুলে ধরলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা (JP Nadda)।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘মমতাই শেষ কথা, তৃণমূলে কোনও দাদার স্থান নেই’, শুভেন্দুকে তোপ ছত্রধরের]

বুধবার সন্ধ্যায় আইসিসিআরে দলের নির্বাচনী কমিটির বৈঠক করেন বিজেপি সভাপতি। সূত্রের খবর, সেখানে নাড্ডা সাফ বলেন, “ভোটে টিকিট না পেলে অন্যদিকে মন গেলে চলবে না। কোনও ঘোট পাকানো যাবে না। যাদের ভোটে দাঁড়াতে ইচ্ছা তারা শিবপ্রকাশজির কাছে নাম দেবেন। টিকিট পেলে লড়বেন। না পেলে দলের জন্য লড়বেন।” এদিন, আইসিসিআরে সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে মিলিত হন বিজেপি সভাপতি। এছাড়াও, ভবানীপুরে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে নাড্ডা সেখানকার নেতা-কর্মীদের আরও বলেছেন, এমনভাবে প্রচার করতে হবে তৃণমূলের মনোবল ভেঙে দিতে হবে। প্রতি বুথে, প্রতিটা মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির উপরও জোর দেন তিনি। বিশ্লেষকদের মতে, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে সর্বশক্তিতে ঝাপিয়ে পড়েছে গেরুয়া শিবির। কারণ, এবারই রাজ্য জয়ের সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে বিজেপির। কারণ, দুর্নীতি ইস্যুতে রাজ্যের শাসকদলের পিঠ কিছুটা দেওয়ালে থেকেছে। মুকুল রায় থেকে শুভেন্দু অধিকারীর মতো কেউকেটা নেতারা বিদ্রোহী হয়ে ওঠেছেন। বাম-কংগ্রেস বৃদ্ধ অশ্বথ গাছের মতো কোনওপ্রকারে টিকে রয়েছে। ফলে মানুষের কাছে বিকল্প হয়ে ওঠার বড় সুযোগ রয়েছে বিজেপির। তাই এই নির্বাচনে বাজিমাত করতে না পারলে পদ্ম শিবিরের বঙ্গজয়ের আশা পূরণ হওয়া অত্যন্ত কঠিন হয়ে ওঠবে।

উল্লেখ্য, হেস্টিংসের কর্মসূচি সেরেই নাড্ডার লক্ষ্য ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড় ভবানীপুর। বিকেল পৌনে চারটে থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভবানীপুরে দাপিয়ে বেড়ান বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-সহ একাধিক অভিযোগে দলের ‘আর নয় অন্যায়’ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে ভবানীপুরে গিরিশ মুখার্জি রোডের বস্তিতে কয়েকটি বাড়িতে লিফলেট বিলি করে সারেন জনসংযোগ। আবার ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে দলের নির্বাচনী টিমকে নিয়ে ভাষা পরিষদ হলে ভোট বৈঠকও করেছেন। সেখানে চায়ে পে চর্চায় অংশ নিয়ে কর্মীদের তাঁর বার্তা, ভবানীপুর এলাকায় বাড়ি বাড়ি এমনভাবে প্রচার করুন যাতে মুখ্যমন্ত্রীকেও ভাবতে হয়। দলের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড়ে উপস্থিত হয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচারে মুখ্যমন্ত্রীকেই নিশানা করার বার্তা দিয়েছেন তিনি।

[আরও পড়ুন: রাজ্যে ঊর্ধ্বমুখী সুস্থতার হার, তবে চিন্তায় রাখছে এই পাঁচ জেলার করোনা পরিস্থিতি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement