অরূপ বসাক, মালবাজার: মালবাজারে (Malbazar) হড়পা বানে তলিয়ে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিজেপি। ষড়যন্ত্রের তত্ত্বও খাড়া করেছিল। শুক্রবার দুর্ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখলেন বিজেপি-র ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল। কথা বললেন নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। আজ কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলও যাবে মালবাজারে।
মাল নদীতে কমপক্ষে ৬৫-৭০টি প্রতিমা নিরঞ্জনের কথা ছিল দশমীতে। বহু মানুষ ভিড় করতে পারেন, সেই আশঙ্কা ছিল। রাত আটটার পর থেকেই নদীতে জল বাড়তে শুরু করেছিল, নদীঘাটে মোতায়েন সিভিল ডিফেন্স কর্মী তা জানিয়েছিলেন। যাঁরা নদীতে নামছেন, তাঁদের সরে আসার অনুরোধ করা হয়েছিল বলে দাবি করেন সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। তবুও দুর্ঘটনা ঘটে। হড়পা বানে তলিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। সেই ঘটনায় প্রথম থেকেই পুলিশ ও প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি।
[আরও পড়ুন: গরুপাচার মামলার ‘মূল পৃষ্ঠপোষক’ অনুব্রত, গ্রেপ্তারির ৫৭ দিনের মাথায় চার্জশিটে দাবি সিবিআইয়ের]
শুক্রবার সকালে বিজেপি-র ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল যায় মাল নদীর পাড়ে অর্থাৎ ঘটনাস্থলে। সেখানে ছিলেন বিধায়ক মনোজ টিগ্গা, শংকর ঘোষ, দীপক বর্মন, জলপাইগুড়ির সভাপতি বাপি গোস্বামী-সহ মোট ৯ জন। ঘটনাস্থলের বেশ কিছু ছবি তোলেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, হড়পা বানে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের সদস্যদের বাড়িতে যাবেন তাঁরা। কথা বললেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। তারপরই তাঁরা এই ঘটনাটিকে মনুষ্যসৃষ্ট গণহত্যা বলে ব্যাখ্যা করেন। প্রয়োজন আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। হড়পা বানের সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে কেন কোনও আগাম প্রস্তুতি নেয়নি প্রশাসন? হাজার হাজার মানুষের জমায়েত যেখানে হওয়ার কথা সেখানে কেন মাত্র ৮ জন সিভিল ডিফেন্সের কর্মী ছিলেন? কেন নদীঘাটের আশেপাশে অ্যাম্বুল্যান্সের বন্দোবস্ত ছিল না? প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরা আর একটু সজাগ হলে এমন ভয়াবহ বিপর্যয় সামাল দেওয়া সম্ভব হত বলেই মত অনেকের।