গোবিন্দ রায়: পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আসতেই ফের পুরনো ‘অস্ত্র’ বিজেপির। নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিরোধী দলনেতার দাবি, রাজ্য প্রশাসন নয়, পঞ্চায়েত নির্বাচন করাতে হবে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির তত্ত্বাবধানে। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা।
নিয়ম অনুযায়ী, পঞ্চায়েত নির্বাচনে আইন শৃঙ্খলার ভার থাকে সংশ্লিষ্ট রাজ্য প্রশাসনের উপরই। সে হিসাবে রাজ্য পুলিশকে দিয়েই পঞ্চায়েত নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত কমিশনকে জানিয়েছে নবান্ন (Nabanna)। কিন্তু তা নিয়ে ঘোর আপত্তি শুভেন্দু-সহ বিরোধী শিবিরের। অবাধ, শান্তিপূর্ণ এবং সুষ্ঠু পঞ্চায়েত নির্বাচন করাতে হলে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া বিকল্প নেই বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু। এর পাশাপাশি গত ২৯ শে জুলাই তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের গণনার যে বিজ্ঞপ্তি রাজ্য নির্বাচন কমিশন দিয়েছে তা খারিজ করার আবেদন জানানো হয়েছে জনস্বার্থ মামলায়।
[আরও পড়ুন: ‘তৃণমূলের কেউ ক্ষতি করতে পারবে না’, বিজেপির ‘ডিসেম্বর হুঁশিয়ারি’ নিয়ে মন্তব্য পার্থর]
বিরোধী দলনেতার দাবি, ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের আপত্তি সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়। সেবারে শান্তিপূর্ণ ভাবে নির্বাচন হয়। কিন্তু ২০১৮ সালে রাজ্য পুলিশের নিয়ন্ত্রণে পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ায় ব্যাপক সন্ত্রাসের সাক্ষী ছিল রাজ্য। বিরোধীরা মনোনয়ন পর্যন্ত পেশ করতে পারেনি। এর আগে কলকাতা পুরসভা (Calcutta Municipality) এবং কাঁথির নির্বাচনেও অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। বিরোধী দলনেতার আবেদন, অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে পঞ্চায়েত ভোট হোক কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে। আর বিরোধীরা যাতে মনোনয়ন দিতে পারে সেটাও নিশ্চিত করুক কমিশন।
[আরও পড়ুন: দাউদাউ করে জ্বলছে ট্যাংরার প্লাস্টিক কারখানা, কালো ধোঁয়ায় ঢাকল এলাকা]
বস্তুত, নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি তোলা বিজেপির পুরনো স্বভাব। এর আগে একাধিক নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি তুলে আদালতেরও দ্বারস্থ হয়েছেন শুভেন্দু। প্রতিবারই আদালত তাঁর আরজি খারিজ করেছে। তৃণমূলের (TMC) বক্তব্য, সংবিধানে বলা আছে কোন ভোটটা কেন্দ্রীয় বাহিনী করবে, কোন ভোটটা রাজ্য পুলিশ করবে। এটা রাজ্য সরকার ইচ্ছা মতো করছে না। এটা তো সংবিধানগতভাবেই স্বীকৃত। তাছাড়া গত বিধানসভা নির্বাচন তো কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই হয়েছিল। তাতেও ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির।