সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলা দখলে মরিয়া বিজেপি। সেই কারণে আটঘাঁট বেঁধে মাঠে নেমেছে গেরুয়া শিবির। রাজ্যের ভোটারদের সঙ্গে দলের যোগাযোগ বাড়াতে নিত্যনতুন রণকৌশল নিচ্ছে তারা। সেই নীলনক্সার অঙ্গ হিসেবে এবার এ রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ ১১০ বিধানসভা কেন্দ্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ২২ সংগাঠনিক নেতাকে। যাঁদের মূল কাজ, বিধানসভা কেন্দ্রের কাছে দলের আদর্শকে পৌঁছে দেওয়া। ভোটারদের মন বোঝা।
গত কয়েক বছর ধরেই বাংলা নিজেদের সংগঠনকে শক্ত করছে গেরুয়া শিবির। সেই উদ্যোগের ফল মিলেছে গত লোকসভা নির্বাচনে। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে কড়া টক্কর দিয়ে ১৮টি লোকসভা আসন দখল করেছে নরেন্দ্র মোদির দল। তার পর থেকেই বিধানসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে পালাবদল করতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। সেই উদ্দেশ্যে ঘনঘন বাংলায় আসছেন বিজেপি নেতা-মন্ত্রীরা। রাজ্যের নেতা-কর্মীদের রীতিমতো হোমওয়ার্ক দিচ্ছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা ও তাঁর পূর্বসূরী অমিত শাহ। তবে ১১০ টি আসনের জন্য নতুন পরিকল্পনা নিচ্ছে বিজেপি।
[আরও পড়ুন : ইরান ও রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নেয়নি ভারত, জানিয়ে দিল নৌসেনা]
সূত্রের খবর, বাংলায় সরকার গড়তে বিজেপির পথের কাঁটা ১১০টি আসন। মূলত কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকার কিছু বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে চিন্তিত গেরুয়া শিবির। সেই আসনগুলিতে পদ্মফুল ফোটাতে এবার নয়া রণকৌশল নিয়েছে বিজেপি। বিভিন্ন রাজ্যের ২২ জন পোড়খাওয়া সাংগঠনিক নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে এই ১১০ আসনের। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে ভারচুয়াল বৈঠকে ওই নেতাদের দায়িত্বে বন্টনের কথা জানিয়ে দিয়েছেন বিজেপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিব প্রকাশ। আগামী ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা।
কোন ২২ জন নেতা বঙ্গের ভোটযুদ্ধের দায়িত্ব পাচ্ছেন? সূত্রের খবর, এই তালিকায় রয়েছে নিশিকান্ত দুবে, বিনোদ শঙ্কর, বিনোদ তাওদে, ধর্মেন্দ্র প্রধান, প্রদীপ সিনহা বাঘেয়াল, বসন্ত পাণ্ডে, আর কে সিং, মঙ্গল পাণ্ডে, রমেশ বিধুরি, রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর, নীতিন নবীন, বিনয় সহর্ষবুদ্ধি, আশিস শেহলার, রাধামোহন সিং, মদন লাল শর্মা, সতীশ উপাধ্যায়ের মতো নেতারা।