shono
Advertisement

নজরুলের গান দিয়ে শুরু ব্রিগেডের গীতাপাঠ! সাধু-সন্তদের পাশে দাঁড়িয়ে গীতাপাঠে মোদি

মুখ্যমন্ত্রী গেলে জায়গা হবে প্রধানমন্ত্রীর পাশেই, দাবি উদ্যোক্তাদের।
Posted: 09:07 PM Dec 14, 2023Updated: 09:07 PM Dec 14, 2023

স্টাফ রিপোর্টার: কাজি নজরুলের লেখা ‘হো পার্থসারথী’ গানে শুরু হবে ব্রিগেডের লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের আসর। বাজবে পঞ্চাশ হাজার শঙ্খও। আর এই আসরে তৈরি হওয়া আবেগকে পুঁজি করে রাজ্যে হিন্দুত্বের ঝোড়ো হাওয়া তুলতে প্রাচীন মঠ ও মন্দিরের পুনর্জাগরণে গ্রামে গ্রামে ঘুরবেন গৈরিক বসন পরিধারী সাধু-সন্তের দল।

Advertisement

বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোটের দামামা বেজে উঠছে দেশজুড়ে। তার আগে আগামী ২৪ ডিসেম্বর ব্রিগেডে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের আসর বসিয়ে বাংলায় হিন্দুত্বের আবেগকে তুঙ্গে তুলতে কোমর বেঁধেছে গেরুয়া শিবির। আয়োজন সফল করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) হাজির করানো হচ্ছে ব্রিগেডে। সব মিলিয়ে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে এই অনুষ্ঠানের নাম তুলতে বদ্ধপরিকর উদ্যোক্তারা।

[আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপীর পর মথুরা, শাহী ইদগাহ মসজিদে সার্ভের আর্জিতে সায় হাই কোর্টের]

সরকারিভাবে ‘রাজনীতি-রহিত অনুষ্ঠান’ হলেও মূল মঞ্চেই দ্বারকার শঙ্করাচার্য সদানন্দ সরস্বতীর ও দেশের শীর্ষস্থানীয় অন‌্য সাধু-সন্তদের পাশেই থাকছে মোদির আসন। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে উদ্যোক্তাদের পক্ষে নির্গুনানন্দ মহারাজ দাবি করেন, ‘‘বিষয়টি শুনে প্রধানমন্ত্রী নিজেই সাধু-সন্তদের পাশে দাঁড়িয়ে গীতা পাঠ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। সেই হিসাবে মূল মঞ্চেই তাঁর জন‌্য আসন রাখা হচ্ছে। তবে প্রধানমন্ত্রী ছাড়া অন‌্য কোনও রাজনীতিবিদ বা সাংসদ-বিধায়ক এই মঞ্চে স্থান পাবেন না। সেখানে সাধু-সন্তরাই থাকবেন।’’

[আরও পড়ুন: সংসদে গ্যাস হামলার প্রতিবাদের জের! সাসপেন্ড ১৫ জন বিরোধী সাংসদ]

ব্রিগেডের অনুষ্ঠানে রাজ‌্য বিজেপির সাংসদ-বিধায়কদের পাশাপাশি আমন্ত্রিত তৃণমূল সাংসদ-বিধায়করাও। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্মু ও মুখ‌্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও (Mamata Banerjee)। উদ্যোক্তাদের দাবি, মুখ‌্যমন্ত্রী এলে তাঁর আসন থাকবে প্রধানমন্ত্রীর পাশেই। যদিও এই অনুষ্ঠানকে রাজনৈতিক চাল বলে কটাক্ষ করে রাজ‌্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, ‘‘গীতাপাঠ আগেও হয়েছে। এই রাজ্যে এই ধরনের সব অনুষ্ঠান হয়। গীতাপাঠ, প্রবচন-সহ হিন্দুদের যা আছে, সবই হয়। ইসলাম ধর্মের, খ্রীষ্ট ধর্মের সবই হয়। চিরকাল হয়ে এসেছে। তৃণমূল এসব কোনওদিন বলে বেড়ায় না। কোনও রাজনৈতিক দল এসব করে না। কোনও সংগঠন করলে অংশ নেওয়া হয়। তৃণমূলের রাজনীতি হচ্ছে রোটি, কাপড়া আর মাকানের। বিজেপি ধর্ম টিকিয়ে রাখতে চায়। তবে গীতাপাঠ করে কিছু হবে না। আমরা পাণ্ডব, ওরা কৌরব। আমরা জিতব, ওরা হেরে যাবে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement