প্রণব সরকার, আগরতলা: মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের প্রতিই আস্থা রাখল বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। দলের প্রায় সব বিধায়কই একই সঙ্গে আস্থা রেখেছেন বিপ্লব কুমার দেবের উপর। বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর প্রয়াস ভেস্তে দিয়ে আপাতত দলের রায় গিয়েছে তাঁর পক্ষেই।
[আরও পড়ুন: পাশবিক! ঝাড়খণ্ডে পাঁচ সন্তানের জননীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ১৭ জন মদ্যপের বিরুদ্ধে]
এদিকে, আগামী ১৩ ডিসেম্বরের বিপ্লব দেবের সভা বাতিলের পরামর্শ দিয়েছে দলীয় হাইকমান্ড। ত্রিপুরার পর্যবেক্ষক বিনোদ কুমার সোনকর নিজে ফোন করেছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। বলেছেন তার উপরই আস্থা সর্বভারতীয় পার্টির নেতৃত্বের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে অমিত শাহ, জে পি নাড্ডারা বরাবরই আস্থা রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের উপর। বুধবার দলের মন্ত্রী বিধায়করা বাসভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। আস্থা রেখেছেন তার নেতৃত্বের উপর। একই সঙ্গে রাজ্য বিজেপির কার্যকরী কমিটির বৈঠকেও পূর্ণ আস্থা জ্ঞাপন করা হয়েছে দেবের উপর। এরপরেই ১৩ তারিখের সভা বাতিলের দিকে হাঁটছে বিজেপি। সম্প্রতি রাজ্য সফরে এসেছিলেন পর্যবেক্ষক বিনোদ সোনকর। তার সামনেই সুদীপ বর্মনের কয়েকজন অনুগামী বিপ্লব হটাও শ্লোগান দিয়েছিলেন।n এরপরই ব্যথিত মুখ্যমন্ত্রী আগামী ১৩ ডিসেম্বর প্রকাশ্য জনসভায় আস্থা নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। এরপরই নড়েচড়ে বসে পার্টির সর্বোচ্চ নেতৃত্ব। পরপর ফোন আসতে থাকে মুখ্যমন্ত্রী দেবের কাছে। দল বিরোধী কাজের সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাসও দিয়েছেন পার্টির শীর্ষ নেতৃত্ব।
উল্লেখ্য, সুদীপ বর্মনের সমর্থকদের ‘বিপ্লব দেব হটাও’ শ্লোগানের পর আগামী ১৩ ডিসেম্বর প্রকাশ্যে রাজধানীর স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে জনতার রায় নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। সেখানে দুপুর ২টো থেকে উপস্থিত থাকার কথা ছিল তাঁর। সেখানেই জনগণের রায় শোনার কথা বলেছিলেন তিনি। তিনি কি ক্ষমতায় থাকবেন? নাকি চলে যাবেন? এই প্রশ্নের উত্তর জনতার কাছে চাওয়ার কথাও বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর জনগণের রায় বিচার করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা তাঁর। এবার দলের হাইকমান্ডের নির্দেশে সেই সভা বাতিল হতে চলেছে বলেই খবর।