সঞ্জিত ঘোষ, কৃষ্ণনগর: তৃণমূল নেতার ‘বউ চুরি’! বিজেপির (BJP) পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন তৃণমূল নেতার। এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়েছে নদিয়ার কৃষ্ণনগর লোকসভার অন্তর্গত দোগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতে।
জানা গিয়েছে, বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধানের প্রেমে পড়ে দল, ঘর দুইই ছেড়ে ফেরার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা। এই ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে ‘বউ চুরি’র অভিযোগ তুলে অনুগামীদের সঙ্গে নিয়ে পথ অবরোধে তৃণমূল নেতা অরবিন্দ মণ্ডল। তাঁর অভিযোগ, বউকে ‘ফুঁসলিয়ে’ নিয়ে পালিয়েছেন বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধান। যদিও অরবিন্দের স্ত্রীর সঙ্গে ফেরার হওয়া তো দূরের কথা সম্পর্কের কথাও অস্বীকার করেছেন বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধান রন্টু সর্দার।
[আরও পড়ুন: ঘটকালির আড়ালে ভিনরাজ্যে নারী পাচার! হুগলি থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার কাশ্মীর পুলিশের]
এদিকে বউকে ফেরাতে বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে কতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী অরবিন্দ মণ্ডল। এমনকি বউকে উদ্ধার করতে তৃণমূলের মন্ত্রীর কাছেও দরবার করেছেন তিনি। অরবিন্দ বলেন, “বিজেপির প্রধান আমার স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়েছেন। ভুল বুঝিয়ে আমার স্ত্রীকে দলবদলেও বাধ্য করা হয়েছে। এই ঘটনায় আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। পুলিশ কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছি। আমার দাবি, অবিলম্বে বিজেপির প্রতীকে নির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রধানকে গ্রেফতার করে আমার বৌকে উদ্ধার করে দিতে হবে প্রশাসনকে।” শুধু তাই নয় রন্টুর বিরুদ্ধে আঙুল তুলে তাঁর আরও অভিযোগ, ‘পরিবার থাকা সত্ত্বেও আমার স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন রন্টু। বিচার চেয়ে রাজ্যের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসের কাছেও গিয়েছি আমি।’ যদিও অরবিন্দের অভিযোগ একেবারেই মানতে নারাজ বিজেপি। রন্টুর দাবি, তাঁকে বদনাম করতে পরিকল্পিতভাবে চক্রান্ত করছে তৃণমূল। তিনি বলেন, ‘এই সব ভুল অভিযোগ। এ রকম কিছুই হয়নি। বিজেপি পঞ্চায়েত গঠনের পর থেকেই তৃণমূল আর কাজ পাচ্ছে না। তাই এ সব রটাতে হচ্ছে।’
[আরও পড়ুন: দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর, ঘরছাড়া বহু, দেবাংশুকে ‘অত্যাচারে’র কাহিনি শোনালেন TMC কর্মীরা]
২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে দোগাছি পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে আসে। এই পঞ্চায়েতের জালালখালির আসন থেকে তৃণমূলের প্রতীকে এ বার জয়ী হয়েছিলেন অরবিন্দের স্ত্রী। তাঁর স্বামী অরবিন্দ পেশায় সব্জি ব্যবসায়ী। প্রতি দিন কলকাতায় এসে সব্জির ব্যবসা করেন। ভোরবেলা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। রাতের ট্রেনে বাড়ি ফেরেন। গত ৪ মার্চ রাতে বাড়ি ফিরে অরবিন্দ দেখেন, বাড়িতে বৌ নেই! এরপরই বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে বৌ চুরির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে তৃণমূল নেতা।