রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: একের পর এক নির্বাচনে খারাপ ফলাফল। স্বাভাবিকভাবেই হতাশ বঙ্গ বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। তার মাঝে দলীয় অন্তর্কলহ ক্রমশ প্রকট হচ্ছে। সব মিলিয়ে সরগরম বঙ্গ বিজেপি। বৃহস্পতিবারই বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে তোপ দাগেন সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এই পরিস্থিতিতে ফের সরব অনুপম হাজরা (Anupam Hazra)। শুক্রবারই টুইটে বঙ্গ বিজেপি নেতাদের তোপ দাগলেন কেন্দ্রীয় সম্পাদক।
শুক্রবার একটি ফেসবুক পোস্টে অনুপম লেখেন, “আত্ম অহংকার ছাড়ো..আত্ম বিশ্লেষণ করো!!!…পুরনো মানুষগুলো ধীরে ধীরে তলিয়ে যাচ্ছে, হারিয়ে যাচ্ছে!!…”মিলে মিশে করি কাজ হারি-জিতি নাহি লাজ”
[আরও পড়ুন: বিয়েতে রণবীরের জুতো চুরি করে আলিয়ার বন্ধুরা চেয়েছিলেন ১১ কোটি! কী করলেন ঋষিপুত্র?]
সম্প্রতি বিজেপির আদি এবং নব্য নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকট। পুরনো নেতা-কর্মীদের বিদ্রোহ, ক্ষোভ-বিক্ষোভ অব্যাহত। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের প্রতি কার্যত অনাস্থা প্রকাশ করেছেন খোদ দিলীপ ঘোষ। তার মাঝে অনুপম হাজরার ফেসবুক পোস্টের অন্তর্নিহিত অর্থ বুঝতে কাউকেই বিশেষ বেগ পেতে হবে না বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাঁদের মতে, দিলীপ ঘোষের সুরে সুর মিলিয়ে নাম না করে বঙ্গ বিজেপি নেতাদেরই বার্তা দিয়েছেন অনুপম। একের পর এক নির্বাচনে হার নিয়ে আত্মবিশ্লেষণের প্রস্তাবও দিয়েছেন তিনি।
অনুপম এবং দিলীপ ঘোষের দলের বিরুদ্ধেই সমালোচনামূলক মন্তব্য প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর দাবি, “দিলীপ ঘোষের মন্তব্য কিংবা অনুপম হাজরার টুইট নজরে পড়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে তা কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ভেবে দেখবেন। এ বিষয়ে আমার কিছুই বলার নেই।” পদ্মশিবিরের অন্তর্দ্বন্দ্ব স্বাভাবিকভাবেই অক্সিজেন জোগাচ্ছে অন্যান্য দলকে। অনুপমের টুইটের তীব্র সমালোচনা করে তৃণমূল। বিজেপি আবর্জনার স্তূপে পরিণত হয়েছে বলেই কটাক্ষ ঘাসফুল শিবিরের।