রুপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: নিয়োগ দুর্নীতি ঘিরে তোলপাড় গোটা রাজ্য। আর এই ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়লেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। ‘দিদিকে বলো’র ধাঁচে শুরু করলেন দিলীপকে বলো কর্মসূচি! এবার নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ তাঁকে জানাতে হবে ইমেলে।
আমজনতার কাছে দিলীপবাবু জানতে চেয়েছেন, “আপনি কি কাউকে চেনেন যে টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছেন, দিব্যি চাকরি করছেন।” যদি এমন কাউকে চেনেন, তাঁদের নাম-ঠিকানা জানাতে পারেন দিলীপ ঘোষকে। অভিযোগ জানানোর জন্য নিজেদের ইমেল আইডিও দিয়েছেন তিনি। দিলীপ ঘোষের এই উদ্যোগ ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। নিজের অস্তিত্ব রক্ষা করতেই এই টুইট কটাক্ষ তৃণমূলের মিডিয়া কো অর্ডিনেটার কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh)।
[আরও পড়ুন: অভিষেকের ‘নিঃশব্দ বিপ্লব’, ৮ বছরের রিপোর্ট কার্ড পেশ ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের]
রাজ্যে প্রাথমিক (Primary Teacher), উচ্চপ্রাথমিক শিক্ষক (Upper Primary) নিয়োগের দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই (CBI)। এই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। এর মধ্যে ‘অফিস অফ দিলীপ ঘোষে’র অ্যাকাউন্ট থেকে একটি টুইট করা হয়। সেটি রিটুইট করেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। টুইটের মূল বিষয়টি হল, “কেউ চাকরির জন্য টাকা নিলে বা টাকার বিনিময়ে চাকরি পেলে তা দিলীপ ঘোষকে জানাতে হবে।” স্বাভাবিকভাবেই তাঁর এই উদ্যোগ ঘিরে প্রশ্ন উঠছে।
কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূলও। ঘাসফুল শিবিরের রাজ্য সম্পাদক তথা মিডিয়া কো অর্ডিনেটর কুণাল ঘোষের কথায়, “এই টুইট আসলে দিলীপবাবুর কহি পে নিগাহে, কহি পে নিশানা। নিজেক অস্তিত্ব জানান দেওয়ার চেষ্টা। আমি আছি, টুইটারে আছি, ইমেলে আছি বোঝানোর চেষ্টা।” তিনি আরও বলেন, “আসলে সভাপতি পদ থেকে ওঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাংলা নিয়ে মুখ খুলতে বারণ করা হয়েছে। তাই নিজের অস্তিত্ব বাঁচিয়ে রাখতে উনি এসব করছেন। আর কিছুই না।”