shono
Advertisement

‘শীতলকুচিতে প্রত্যক্ষদর্শীদের তোলা ভিডিও মুছে দিয়েছে পুলিশ’, বিস্ফোরক অভিযোগ বিজেপির

সেদিনের ফুটেজ প্রকাশের দাবিতে কমিশনের দ্বারস্থ বাম সমর্থিত 'বাংলা মঞ্চ'।
Posted: 05:14 PM Apr 13, 2021Updated: 06:13 PM Apr 13, 2021

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: গত শনিবার ভোটের দিন কোচবিহারের (Cooch Behar) শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রের জোড়পাটকিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিচালনা নিয়ে তরজা অব্যাহত। ঠিক কীসের পরিপ্রেক্ষিতে সেদিন গুলি চলেছিল, তা নিয়ে নানা ব্যাখ্যা চলছে। ১২৬নং বুথের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করে দেখছে কমিশন। সঠিক ঘটনা এখনও অজ্ঞাত। তারই মধ্যে রীতিমতো হাস্যকর দাবি করে বসল রাজ্য বিজেপির একাংশ। মঙ্গলবার বিজেপি (BJP) নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের অভিযোগ, সেদিন প্রত্যক্ষদর্শীরা যে ভিডিও রেকর্ড করেছিল, তা রাতে গিয়ে পুলিশ মুছে দিয়েছে। এতে ইন্ধন ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আইপিএস জ্ঞানবন্ত সিংয়ের। আসল ঘটনা আড়াল করার জন্য তাঁর নির্দেশেই এসব কাজ হয়েছে। সূত্রের খবর, এই ঘটনায় পৃথক তদন্ত করতে পারে CISF।

Advertisement

এদিন জয়প্রকাশ মজুমদার অভিযোগ করে বলেন, ”ওইদিন এতজন লোক কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশের (CAPF) উপর চড়াও হয়েছিল। সবার হাতে গ্রাম্য অস্ত্র ছিল। আর গোটা ঘটনা যারা দেখেছে, তারা যে কেউ ভিডিও তোলেনি, তা অবিশ্বাস্য। এখন সবার হাতে স্মার্টফোন। নিশ্চয়ই তাদের কেউ না কেউ ভিডিও তুলেছিল। কিন্তু একটি ফুটেজও বাইর আসেনি। আমাদের কাছে খবর আছে, ওইদিন রাতে ঘরে ঘরে গিয়ে পুলিশ মোবাইল চেক করে সেই রেকর্ডিং মুছে দিয়েছে, যাতে প্রকৃত ঘটনা সামনে না আসে।” কমিশনের কাছে তাই বিজেপি প্রতিনিধি দলের আবেদন, সিসিটিভি (CCTV) ফুটেজ হোক কিংবা প্রিসাইডিং অফিসারের ডায়রি যেন প্রকাশ্যে আনা হয়। এমনিতেই শীতলকুচির জোড়পাটকির বুথে সেদিন ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও ওয়েবকাস্টিং হয়নি। সিসিটিভি থাকলেও তা ভেঙে ফেলা হয়েছিল। ফলে গুলিচালনার ঘটনা নিয়ে হাতে পাওয়া প্রমাণ এখনও অনেক দুর্বল।

[আরও পডুন: একাকী ধরনা, প্রচারে নিষেধাজ্ঞার পালটা কৌশলী চাল মমতার]

এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক চাপানউতোরের মাঝে মঙ্গলবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনে (Election Commission) গিয়েছিল বাম সমর্থিত সংগঠন ‘বাংলা মঞ্চ’। তারা রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয়। এই সংগঠনের সদস্যদের দাবিও একই – ফুটেজ কোথায়, তা প্রকাশ করা হোক।

‘বাংলা মঞ্চ’-র সদস্যদের বক্তব্য, নিহতদের পরিজনদের জানার অধিকার আছে যে রাষ্ট্রশক্তির গুলিতে কেন তাঁদের প্রিয়জনদের হারাতে হল। কীসের পরিপ্রেক্ষিতে ভোটের দিন বুথে গুলি চালানো হল। আগামী ১৯ তারিখের মধ্যে সেই ফুটেজ কমিশন প্রকাশ্যে না আনলে, এই সংগঠনের তরফে নির্বাচন কমিশনের দপ্তর ঘেরাও করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

[আরও পডুন: দিনের ব্যস্ত সময়ে যাত্রীবাহী সরকারি বাসে গুলি, ভাঙল জানলার কাচ, তীব্র আতঙ্ক বালিতে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement