মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: দলীয় নেতার মৃত্যুর প্রতিবাদে বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বন্ধে উত্তপ্ত বাগনান (Bagnan)। সৌমিত্র খাঁকে এলাকায় ঢুকতে বাধা দেয় পুলিশ। তাতেই অশান্তির সূত্রপাত। হাওড়া জ্বলবে বলেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। এরপরই টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। আপাতত বাগনান থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন তাঁরা। পালটা এলাকায় শান্তি মিছিল করে তৃণমূল।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বন্ধের তেমন প্রভাব চোখে পড়েনি বাগনানে। দোকানপাট মোটামুটি খোলাই ছিল। অটোর দেখাও মিলেছে। মোটের উপর কার্যত সচলই ছিল বাগনান। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বদলে যায় চেহারা। সৌমিত্র খাঁ এলাকায় আসেন। পুলিশ প্রথমে সৌমিত্র খাঁকে এলাকায় ঢুকতে বাধা দেয়। তাতেই পুলিশের সঙ্গে বিজেপি নেতাকর্মীরা বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এরপর যদিও পুলিশ সৌমিত্র খাঁকে এলাকায় ঢুকতে দেয়। ইতিমধ্যেই টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। পুলিশ ৬ জনকে আটক করে।
কেন দলীয় কর্মীদের আটক করা হল, তারই প্রতিবাদ করতে থাকেন সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan)। “এবার গোটা হাওড়া জ্বলবে” বলেও তোপ দাগেন তিনি। এরপর গেরুয়া শিবিরের কর্মী-সমর্থকরা বাগনান থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে।
[আরও পড়ুন: করোনার কোপ, নমো নমো করে কুমারী পুজো সারা হল কঙ্কালীতলায়]
উল্লেখ্য, মহাষ্টমীর রাতে পেশায় ফুল ব্যবসায়ী তথা বিজেপি নেতা কিংকর বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় পথেই প্রতিবেশীর সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। অভিযোগ, সামান্য বাকবিতণ্ডার পর বিজেপি নেতাকে লক্ষ্য করে ওই প্রতিবেশী গুলি চালায়। সঙ্গে সঙ্গে বেশ কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরে কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। অস্ত্রোপচারও হয়। তবে কিংকরকে প্রাণে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। বুধবার বিকেলের দিকে মৃত্যু সংবাদ এলাকায় আসে। আর সে খবর পাওয়ামাত্রই ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন স্থানীয়রা। এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয় তাতে। দফায় দফায় মুম্বই রোড অবরোধ করেন স্থানীয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। বাগনান থানাও ঘেরাও করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার ১২ ঘণ্টা বাগনান বন্ধের ডাক দেয় বিজেপি।