সংবাদ প্রতিদিন প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একাধিক দুর্নীতি ইস্যুতে রাজ্যপালকে স্মারকলিপি বঙ্গ বিজেপির। মঙ্গলবার সকালে রাজভবনে যান রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder), অগ্নিমিত্রা পল-সহ অন্যান্যরা। রাজভবনের সামনে থেকেই মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দাগলেন সুকান্ত। বললেন, “দুর্নীতিতে নাম জড়ালে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেও সিবিআই যাবে।”
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ রাজভবনে যায় বিজেপির (BJP) প্রতিনিধিদল। রাজ্যপাল লা গণেশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে একাধিক দুর্নীতি নিয়ে তাঁর কাছে স্মারকলিপি জমা দেন সুকান্ত, অগ্নিমিত্রারা। সেখান থেকে বেরিয়ে একাধিক ইস্যুতে তোপ দাগেন তৃণমূল সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীকে (Mamata Banerjee)। বলেন, “একদল মানুষ রাজনীতিকে উপার্জনের জায়গা বানিয়ে ফেলেছে। কিন্তু সেটা মেনে নেওয়া যায় না। রাজনীতি কোনওদিনও উপার্জনের জায়গা হতে পারে না। মোদিজি বারবার সেটা প্রমাণ করেছেন।”
[আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে ‘উধাও’ রাজনীতির রং, সিপিএমের কার্যালয়ে তেরঙ্গা উত্তোলন TMC বিধায়কের]
অনুব্রত ও পার্থ গ্রেপ্তারি নিয়ে তোলপাড় বাংলা। সুকান্ত মজুমদারের দাবি, যারা যারা দুর্নীতিতে জড়িত তাঁদের কেউ রেহাই পাবে না। অনুব্রতকে গোটা ঘটনার দায় নিতেই হবে। কারণ, সায়মল পুলিশ কর্মী ছিলেন। রাজনৈতিক নেতা পিছনে না থাকলে এত লেনদেন হতে পারে না। সুকান্তর কথায়, “যদি জানা যায়, মুখ্যমন্ত্রী জড়িত ওঁর বাড়িতেও সিবিআই যাবে।”
আজ খেলা দিবস। রাজ্যজুড়ে একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। তা নিয়েও মুখ খুললেন সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কথায়, “খেলতে আমরাও পারি। ওরা পুলিশকে সরিয়ে প্লে গ্রাউন্ডে আসুক। আমরা খেলব।” সুকান্তকে পালটা দিয়েছেন তৃণমূলের জয়প্রকাশ মজুমদার। তাঁর কথায়, “বিজেপি এত কিছু জানছে কী করে? ওঁরা তো বোমকেশ বক্সী হয়েছে। সিবিআই নিজের কাজ করুক, তথ্য আদালতে দিক, মিডিয়ায় নয়।”