রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: শুভেন্দু অধিকারী মিছিলে যোগ দেওয়ার আগেই পালটা কর্মসূচি ঘোষণা করল আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার দুপুর ২টো নাগাদ আলিপুরদুয়ার শহরের বি এম ক্লাব ময়দান থেকে প্রতিবাদ মিছিল শুরু করে বিজেপি। এই মিছিলে বিধানসভায় বিজেপি দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা, কালচিনির বিধায়ক বিশাল লামা, ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মন থাকলেও মিছিলের শুরুতে ছিলেন না শুভেন্দু অধিকারী।
এদিকে, আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি তৃণমূলের তরফে পালটা মিছিল ও সভা করা হবে। আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রকাশ চিক বড়াইক বলেন, “আমরা বিজেপির পালটা কর্মসূচি নিয়েছি। ১৩ ফেব্রুয়ারি আমরা বিজেপি যেই দিক দিয়ে মিছিল করে সভা করেছে আমরা ওই স্থান দিয়েই মিছিল করে একই জায়গায় সভা করবো। ওই দিন আমরা আমাদের বক্তব্য বলবো। আমরা রাজ্য ভাগ চাই না। ৪৮ ঘন্টা বিজেপি নেতৃত্বকে সময় দেওয়া হয়েছিল এই বিষয়ে তাদের স্ট্যান্ড পরিষ্কার করার জন্য। তারা পারেনি।”
[আরও পড়ুন: হাই কোর্টের নির্দেশে শিক্ষক বদলির নীতিতে পরিবর্তন, জারি নয়া নির্দেশিকা]
শুক্রবার বি এম ক্লাব থেকে বিজেপির প্রতিবাদ মিছিল মাধব মোড়ে পৌঁছলে সেখানে মিছিলে সামিল হন শুভেন্দু অধিকারী। তারপর বাকি পথ হেঁটে মিছিল পৌঁছয় আলিপুরদুয়ার শহরে রেলের ফ্লাইওভারের পাশে রেলের মাঠে। সেখানেই প্রতিবাদ সভা করে বিজেপি। এই সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সভায় ভাষণে সদ্য দলবদল করা আলিপুরদুয়ারের বিধায়ককে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী।
এছাড়া এদিন রাজ্য সরকারেরও সমালোচনা করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “একটি বোলেরো গাড়ি আর কিছু টাকার জন্য আপনি দল বদল করেছেন। ওই টাকা আপনি রাখতে পারবেন না। মাটির নিচে টাকা রাখলেও তা খুঁড়ে বার করব।” জেলাশাসকদেরও কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার হাইওয়ে তৈরির জন্য জমি অধিগ্রহণের জন্য টাকা দিচ্ছে। আর সেই টাকার সুদ জেলা শাসকরা মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের মচ্ছবে খরচ করছেন। আমি এই মঞ্চ থেকে জেলা শাসকদের হুশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছি। এভাবে আপনারা এই টাকা খরচ করতে পারেন না।”
রাজ্য সরকারের তুমুল সমালোচনা করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ভারতীয় জনতা পার্টি কোনও দিন রাজ্য ভাগের কথা বলেনি। কেউ যদি এই বিষয়ে কিছু বলে থাকেন তাহলে তা তার ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু উত্তরবঙ্গ বঞ্চিত। এটা আমরা বারবার বলছি।” পঞ্চায়েত ভোটের আগে জনসংযোগ বাড়াতে ‘বুথ চলো অভিযান’ করার কথা ঘোষণা করেন শুভেন্দু।