সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুবিচারের দাবিতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ মণীশ শুক্লার (Manish Shukla) বাবা-সহ বিজেপি প্রতিনিধি দল। বাংলায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে এই অভিযোগ জানাতেই রাজভবনে যান তাঁরা। রাজ্যপালের কাছে সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি জানান নিহতের বাবা।
ময়নাতদন্তের শুরু থেকে ছড়ায় উত্তেজনা। ইচ্ছা করে দেহ দিতে দেরি করা হচ্ছিল বলেই ওঠে অভিযোগ। সন্ধে ছ’টা নাগাদ দেহ হাসপাতালের তরফে হস্তান্তর করা হয়। পুলিশের তরফে জানানো হয় শিয়ালদহ উড়ালপুল ধরে বিটি রোড হয়ে দেহ বারাকপুরে নিয়ে যাওয়া হবে। তবে তাতে নারাজ গেরুয়া শিবির। তাদের দাবি, দেহ রাজভবনে নিয়ে যাওয়া হবে। পুলিশি অনুমতি না মিললেও বিজেপি নেতৃত্বে শববাহী গাড়ি নিয়ে এস এন ব্যানার্জী রোড ধরে রাজভবনের দিকে রওনা হয়। তবে রাস্তায় তীব্র যানজট থাকায় দফায় দফায় আটকানো হয় শববাহী গাড়ি। তার ফলে বেজায় চটে বিজেপি নেতাকর্মীরা।
এলিট সিনেমা হলের কাছে ব্যারিকেড করে দেয় পুলিশ। তাতে ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপি নেতাকর্মীরা। নিউ মার্কেটের সামনেও উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় নয়। ইচ্ছা করেই পুলিশ রাস্তায় যানজট তৈরি করেছে বলেই অভিযোগ করেন লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। তিনি বলেন, “ফাঁকা বাস দিয়ে রাস্তায় যানজট করেছে। এই সময়ে কোনও যানজট হয় না। ওরা ভেবেছিল আমরা চলে যাব। নোংরামির রাজনীতি করে কোনও লাভ হবে না। ওরা যত নোংরামি করবে, আমরাও তত করব।” নিহত বিজেপি নেতার বাবার গলাতেও একই অভিযোগের সুর। দেহ নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে বলেই অভিযোগ তাঁর।
[আরও পড়ুন: ‘এটা উত্তরপ্রদেশ নয়, এনকাউন্টার হবে না, সত্যিটা সামনে আসবে’, বিজেপিকে তোপ ফিরহাদের]
ডিসি সেন্ট্রাল এবং অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) কথোপকথনের পরই মধ্যস্থতায় আসা হয়। পুলিশের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় ১৪৪ ধারা জারি হওয়ায় মিছিল করে দেহ নিয়ে রাজভবনে যাওয়া যাবে না। তবে চারজন যেতে পারবেন। তাতে রাজি হয় বিজেপি নেতৃত্ব। নিহত বিজেপি নেতার বাবা, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং অর্জুন সিং রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন। সিবিআই তদন্তের দাবি জানান মণীশ শুক্লার (Manish Shukla) বাবা। এদিকে, মণীশ শুক্লার আত্মীয়রা তাঁর দেহ নিয়ে ইতিমধ্যে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন।