টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: লোকসভা ভোটের মুখে বোমা ফাটানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর তার পরই এসএসসি মামলার রায়ে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন ২৫ হাজার ৭৫৩ জন। লোকসভা ভোটের মুখে তা নিয়ে উত্তাল রাজনৈতিক মহল। এই পরিস্থিতিতে বাঁকুড়ার ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখার দাবি, আরও আরও ৫৯ হাজার লোকের চাকরি যাবে। তা নিয়ে মাথাচাড়া দিয়েছে বিতর্ক। 'ম্যাচ গড়াপেটা' হচ্ছে, প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁয়ের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়েছিলেন বিধায়ক অমরনাথ শাখা। নির্বাচনী প্রচারসভার মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, ‘‘এই যে ৩০ তারিখ আসছে, আরও ৫৯ হাজার লোকের চাকরি যাবে। শুধু সময়ের অপেক্ষা। তাই দেশ গড়ার কাজে এই চোর তৃণমূলকে ভোট দেবেন নাকি বিজেপিকে ভোট দেবেন, সেটা চিন্তা করবেন।’’ কীভাবে বিজেপি বিধায়ক এমন দাবি করলেন, তা নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। একে তো শুভেন্দুর বোমা বিস্ফোরণের হুমকির পর পরই এসএসসি মামলার রায় সম্পর্কযুক্ত বলেই দাবি করছে তৃণমূল। তারই মাঝে ফের অমরনাথ শাখার দাবি ঘিরে রাজনৈতিক মহলে জোর চাপানউতোর, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
[আরও পড়ুন: বেড়েছে কর্মসংস্থান, ‘আচ্ছে দিন’ ভারতে, বলছে পরিসংখ্যান]
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার বিজেপিকে তুলোধোনা করে বলেন, "ক্রিকেটে যেমন ‘ম্যাচ ফিক্সিং’ হয়, তেমন বিজেপি ‘কোর্ট ফিক্সিং’ করেছে।" চাকরিপ্রার্থীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। বলেন, ‘‘যাঁদের চাকরি গিয়েছে, যে সব যোগ্যপ্রার্থীর চাকরি গিয়েছে, আমি তাঁদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, তৃণমূল আপনাদের পাশে রয়েছে। আপনাদের সর্বত ভাবে সাহায্য করবে।’’ তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি অরূপ চক্রবর্তীও প্রায় একই কথা বলেছেন। তাঁর কথায়, "আদালতের রায় রন্ধ্রে রন্ধ্রে বিজেপির স্ট্যাম্প। ক্রমেই বিজেপি নেতাদের কথাতেই পরিষ্কার হচ্ছে চিত্র।" বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুজাতা মণ্ডলও তীব্র সমালোচনা করেন। বলেন, "এরা চাকরি দিতে জানে না। চাকরি ছিনিয়ে নিতে জানে। এভাবে মানুষের মুখ থেকে পেটের ভাত কাড়বেন না।"