ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: দিল্লিতে বিজেপির (BJP) জাতীয় সম্মেলন শুরু হয়েছে শনিবার থেকে। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার ভাষণ দিয়ে সম্মেলন শুরু হবে। সেখানে যোগ দিতে হাসপাতাল থেকে তড়িঘড়ি ছুটি নিয়ে দিল্লির পথে দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তবে সেই সম্মেলন এড়িয়ে শনিবার বিধানসভায় (Assembly) দেখা গেল কার্শিয়াংয়ের বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মাকে! তিনিই একমাত্র বিজেপি বিধায়ক, যিনি এদিন বিধানসভা অধিবেশনে যোগ দিতে এলেন। তা দেখে তাজ্জব পরিষদীয় মন্ত্রী নিজেও। আরও একবার স্পষ্ট হল, বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা দলের প্রতি কতটা ‘বিক্ষুব্ধ’।
আসলে কার্শিয়াংয়ের (Karseong) বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা দীর্ঘদিন ধরেই পাহাড়বাসীর চাহিদা, প্রয়োজন নিয়ে সরব। তাঁর দাবি, কথা গিয়ে কথা রাখেনি বিজেপি। পাহাড়ের মানুষের প্রয়োজন, চাহিদা, দাবি – এসব নিয়ে কেউ ভাবেনি। জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর বারবার পাহাড়বাসীর দাবি নিয়ে সরব হলেও কেউ গুরুত্ব দেয়নি। গত বছর তিনি এসব অভিযোগ তুলে বিধানসভার বাইরে একাই অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। কার্শিয়াংয়ের বিধায়কের দাবি, গোর্খাল্যান্ড (Gorkhaland) ইস্যু তৃণমূল বা বিজেপির নয়, এটা পাহাড়বাসীর বিষয়। আর পাহাড়বাসীর কথা না শুনলে কোনও রাজনৈতিক দলই টিকতে পারবে না।
[আরও পড়ুন: দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে বেলাগাম মধুচন্দ্রিমা আরবাজের! সুরার প্রশ্ন, ‘চা-কফি খাবে, না আমাকে?’]
সেই বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মাই শনিবার একা চলে এলেন বিধানসভায়। যোগ দিলেন অধিবেশনে। দিল্লির (Delhi) জাতীয় সম্মেলনে যোগ না দিয়ে তিনি কেন বিধানসভায়? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিজেপি বিধায়ক জানান, ”শরীর খারাপ। তাই যাইনি।” এর পর তাঁকে অধিবেশনে দেখে রীতিমতো চমকে যান পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। জিজ্ঞাসা করেন, ”এখানে তুমি কী করছো? সবাই তোমাদের দিল্লিতে।” তাঁকেও একই কথা বলেন বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা।
[আরও পড়ুন: বাড়ি ফিরেছেন অশ্বিন, টেস্টের তৃতীয় দিন কালো আর্ম ব্যান্ড পরে মাঠে ১০ জনের ভারত]
এসবের মাঝে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কাছে এই খবর পৌঁছয়। তিনি ফোন করিয়ে লোক মারফৎ বিষ্ণুপ্রসাদকে বিজেপি পরিষদীয় দলের ঘরে ডেকে পাঠান। জানানো হয়, ”আপনাকে আর অধিবেশন কক্ষে ঢুকতে হবে না।” তার পর থেকে নিজের দলের বিধায়কদের ঘরেই বসে কার্শিয়াংয়ের বিধায়ক। কিন্তু দিল্লির সম্মেলনে তিনি যাবেন না বলেই খবর। পাহাড়বাসীর প্রয়োজন নিয়ে তাঁর নিজস্ব অবস্থানই দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়িয়েছে বলে আরও স্পষ্ট হল।