শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: আগেই দলীয় কার্যালয় থেকে সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর (Debashree Chowdhury) ছবি সরিয়ে দিয়েছিলেন রায়গঞ্জের ‘বেসুরো’ বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। আর এবার বিধায়কের অনুপস্থিতিতেই কার্যালয় থেকে সরল নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহের ছবিও। এই ঘটনায় দলের অন্দরেই চলছে জোর চাপানউতোর। তবে কি কৃষ্ণ কল্যাণীর তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা, ক্রমশ জোরাল হচ্ছে জল্পনা।
রায়গঞ্জের অশোকপল্লির পেট্রল পাম্প লাগোয়া এলাকায় বিজেপি বিধায়কের নিজস্ব কার্যালয় রয়েছে। ওই কার্যালয়ে
ঢোকার মুখেই ছিল নরেন্দ্র মোদির ফ্লেক্স। তবে তৃণমূলে (TMC) প্রত্যাবর্তনের জল্পনা প্রকট হতেই বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের সমস্ত ছবি কার্যালয় থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। দিন পনেরো আগে দলীয় বিধায়কের কার্যালয় থেকে শুধুমাত্র রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর ছবি সরিয়ে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, বর্তমানে কলকাতায় রয়েছেন কৃষ্ণ কল্যাণী (Krishna Kalyani)। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, শনিবারই হয়তো তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন তিনি। যদিও এ বিষয়ে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের গলায় অন্য সুর। কানাইয়ালাল আগরওয়ালের দাবি, “অত সহজে চিঁড়ে গলবে না। তৃণমূলের এত খারাপ অবস্থা হয়নি যে ওঁকে নিতে হবে। যা হবে পুজোর পর।”
[আরও পড়ুন: ‘এক্ষুনি অধিকৃত কাশ্মীর ছেড়ে দিক পাকিস্তান’, রাষ্ট্রসংঘে বেনজির আক্রমণ ভারতের]
প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকদিন ধরেই ‘বেসুরো’ রায়গঞ্জের বিজেপি (BJP) বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। দলীয় কর্মসূচি থেকেও সরে দাঁড়ান। এমনকি জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকারকে পদ থেকে সরানোর দাবিতে কার্যত সরব হয়েছিলেন। তার ফলে উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপির অন্দরে অস্বস্তি চরমে ওঠে। তারপর থেকে যত দিন যাচ্ছে ক্রমশই রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়কের তৃণমূলে ফেরার জল্পনা জোরাল হচ্ছে। যদিও সে বিষয়টি মানতে নারাজ বিজেপি জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার। তাঁর দাবি, কৃষ্ণ কল্যাণী এখনও গেরুয়া শিবিরেই রয়েছেন।
তবে দু’দিন ধরে নিজের কেন্দ্রে দেখা যাচ্ছে না রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীকে। যদিও তৃণমূলে যোগদানের জল্পনা নস্যাৎ করে তাঁর দাবি, “আমি কলকাতায় রয়েছি। তবে রায়গঞ্জের অফিসে কি হয়েছে, সেটা আমি জানি না। কয়েকটি ফ্লেক্স নষ্ট হয়ে যাওয়ায় হেলে গিয়েছে। তাই হয়তো সরানো হয়েছে। রায়গঞ্জে ফিরে যা বলার বলব।” তবে বিজেপি ছাড়ার প্রসঙ্গে জল্পনা জিইয়ে রাখলেন খোদ ‘বেসুরো’ বিধায়ক। তিনি বলেন, “সময় যখন আসবে, ঠিক বলব। তবে এখন কিছু বলব না।”